গৌতম আদানি। ফাইল ছবি।
আদানি গোষ্ঠীর মূল সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজ়েস অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে মুনাফায় ফিরেছে। এই ‘অনুকূল’ পরিস্থিতিতে লগ্নিকারীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করল তারা। জানাল, তাদের হিসাবের খাতা যথেষ্ট শক্তিশালী। কর্ণধার গৌতম আদানির বক্তব্য, অনিশ্চয়তা সাময়িক। তাঁদের সংস্থাগুলির ভিত মজবুত। উল্লেখ্য, বুধবার আদানিদের নিয়ন্ত্রিত ১০টি সংস্থার মধ্যে ছ’টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে চারটি। লেনদেনের মাঝে আদানি ট্রান্সমিশন, আদানি গ্রিন এনার্জি এবং আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ার দর ৫২ সপ্তাহে সর্বনিম্নও হয়।
সংস্থার ফল ঘোষণার বিবৃতিতে আদানি বলেছেন, ‘‘বাজারের এখনকার অনিশ্চয়তা সাময়িক। ...সংস্থা দু’টি লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করবে। ঋণ কমানো আর ব্যবসার সম্প্রসারণের জন্য কৌশলগত সুযোগ কাজে লাগানো।’’ তাঁর দাবি, সংস্থার ভিত শক্তিশালী। বিপুল পরিকাঠামো প্রকল্প তৈরির ক্ষমতা রয়েছে তাদের। একই সুরে গোষ্ঠীর সিইও যুগেশিন্দর সিংহের দাবি, সংস্থার নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালন ব্যবস্থায় আস্থা রয়েছে। হিসাবের খাতা পোক্ত। সম্পদ, নগদের জোগানও সুনিশ্চিত। অবস্থা স্থিতিশীল হলে মূলধনী বাজারের কৌশল খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। ব্যবসা চালানো এবং শেয়ারহোল্ডারদের ভাল রিটার্ন দেওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদী সংস্থা।
আমেরিকার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির শেয়ারে ধস নেমেছে। রিপোর্টে দাবি, কারচুপি করে শেয়ার দর বাড়িয়েছে তারা। আদানিরা অবশ্য বারবার এই দাবি খারিজ করেছে। তবু গত তিন সপ্তাহে অর্ধেক হয়ে গিয়েছে তাদের শেয়ার সম্পদ।