NCLT

এনসিএলটি-র সায়, বছর শেষে ফিরতে পারে জেট

পরিষেবা বন্ধের প্রায় দু’বছর পরে জেট এয়ারওয়েজ় পুনর্গঠনের জন্য জালান-কালরক গোষ্ঠীর আনা পরিকল্পনায় সায় দিল জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনাল (এনসিএলটি)।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২১ ০৬:২০
Share:

ছবি: সংগৃহীত

পরিষেবা বন্ধের প্রায় দু’বছর পরে জেট এয়ারওয়েজ় পুনর্গঠনের জন্য জালান-কালরক গোষ্ঠীর আনা পরিকল্পনায় সায় দিল জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনাল (এনসিএলটি)। মৌখিক নির্দেশে তারা বলেছে, ২২ জুন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে পরিকল্পনা কার্যকর করতে হবে। চাইলে তার পরে আরও সময়ের জন্য আবেদন করতে পারবে এই জোট। তবে বিমান সংস্থাটির আগের স্লট (উড়ানের জন্য কেনা নির্দিষ্ট সময়) তাদের ফেরানোর আর্জিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব বিমান পরিবহণ মন্ত্রক এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপরেই ছেড়েছে এনসিএলটি। সংস্থাটির রেজ়লিউশন প্রফেশনাল আশিস ছাছরিয়ার আশা, সব কিছু ঠিকঠাক চললে এ বছরের শেষেই আকাশে দেখা মিলবে জেট এয়ারের বিমানের।

Advertisement

দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে পরিষেবা দেওয়ার পরে ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল ঋণের বোঝা, পুঁজির অভাব ও লোকসানের কারণে পরিষেবা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল নরেশ গয়ালের হাতে তৈরি জেট এয়ার। তার পর থেকে দেউলিয়া আইনে এনসিএলটি-তে জেট বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছিল ঋণদাতারা। টানা তিনবার তা ব্যর্থ হওয়ার পরে অবশেষে অক্টোবরে দুবাইয়ের অনাবাসী ভারতীয় ব্যবসায়ী মুরারি লাল জালান এবং ব্রিটেনের সংস্থা কালরক ক্যাপিটালের মালিক ফ্লোরিয়ান ফ্লিটসের জমা দেওয়া পরিকল্পনায় সায় দেয় ব্যাঙ্কগুলি। আজ জোট জানিয়েছে, এনসিএলটি-র লিখিত নির্দেশ হাতে পাওয়ার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবে তারা।

কিন্তু জেটের বিমান ফের চালুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্লট তারা ফেরত পাবে কি না, সে নিয়ে বিতর্ক এখনও বহাল। মন্ত্রক এবং বিমান নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ এ সংক্রান্ত আর্জি খারিজ করেছে। বলেছে, ইতিমধ্যেই সেই স্লট অন্যান্য সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। শুধু ইতিহাসের উপরে ভিত্তি করে তা জেটকে ফেরানো সম্ভব নয়।

Advertisement

আজ ছাছরিয়ার দাবি, এই স্লট সংস্থা ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে। তবে এখনও হাতে ৯০ দিন সময় রয়েছে, তার আগেই সেই সমস্যা মিটবে বলে তাঁর আশা। সে ক্ষেত্রে দিল্লি, মুম্বই-সহ কিছু বিমানবন্দরের স্লট কাজে লাগানো যাবে বলে মনে করেন তিনি। সেই সঙ্গে আগামী দিনে সংস্থা আকাশে ফিরলে ফের কাজের সুযোগ তৈরি, প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি এবং ক্রেতার সামনে পছন্দের সংস্থা বাছাইয়ের সুযোগ খুলবে বলেও আশা তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement