এআই বিলগ্নিরই পক্ষে অভিজিৎ

বস্তুত, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আর্থিক স্বাস্থ্য ফেরাতেও সরকারের অংশীদারি ৫০ শতাংশের নীচে নামানোর পরামর্শ দিয়েছেন অভিজিৎবাবু। তাঁর ব্যাখ্যা, মূল সমস্যা লুকিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মধ্যেই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন 

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৪৩
Share:

অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।—ছবি পিটিআই।

বিপুল অঙ্কের ঋণ মাথায় নিয়ে কার্যত ধুঁকছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া (এআই)। বেশ কয়েক বার ব্যর্থ হওয়ার পরে আগামী মাসে ফের সংস্থাটি বিক্রির প্রক্রিয়া শুরুর পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। যা নিয়ে আপত্তি তুলেছে খোদ আরএসএসের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ। বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন সংস্থার পাইলটদের সংগঠন। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য মনে করেন, এমন বহু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা আছে যেগুলির উপর থেকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ সরে যাওয়া উচিত। এয়ার ইন্ডিয়াও এর বাইরে নয়। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘করদাতাদের দেওয়া ভর্তুকি কেন এয়ার ইন্ডিয়ায় ঢালা হবে?’’

Advertisement

বস্তুত, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আর্থিক স্বাস্থ্য ফেরাতেও সরকারের অংশীদারি ৫০ শতাংশের নীচে নামানোর পরামর্শ দিয়েছেন অভিজিৎবাবু। তাঁর ব্যাখ্যা, মূল সমস্যা লুকিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মধ্যেই। ওই ব্যাঙ্কগুলিতে ঋণ বকেয়া পড়লে নীতিগত ভাবেই তার তদন্তভার যায় মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনারের দফতরে। তাই এখন ব্যাঙ্ক কর্তারা নতুন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই গুটিয়ে গিয়েছেন। ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। বরং ঋণ দিচ্ছেন অল্প সংখ্যক পুরনো কয়েকটি সংস্থাকে। যাঁদের ইতিমধ্যেই পূর্বতন কর্তারা ঋণ দিয়ে গিয়েছেন। এই ফাঁকে এমন কয়েকটি সংস্থাও ঋণ পাচ্ছে, যাদের হয়তো আর নতুন করে ঋণ পাওয়া উচিত নয়। এর মধ্যে কোনও একটি ধসে গেলে তৈরি হচ্ছে বিপুল অঙ্কের অনাদায়ি ঋণ। তার আগে পর্যন্ত হয়তো সব কিছুই ঠিকঠাক দেখাচ্ছে। কোনও ব্যাঙ্ক কর্তা ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃত ভুল পদক্ষেপ করলে তাঁকে হয়রানি করা উচিত নয় বলে মনে করছেন অভিজিৎবাবু। তাঁর মতে, যতক্ষণ না বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডারের তকমা সরছে, ততক্ষণ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে সরকার নিজেদের অংশীদারি বিক্রি করতে থাকুক। এতে ব্যাঙ্কের হাতেও নতুন পুঁজি আসবে।

আর পশ্চিমবঙ্গের শিল্পায়নের সমস্যা? দক্ষ কর্মপ্রার্থীদের অন্যত্র চলে যাওয়া? নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মনে করেন, উৎপাদন তালুক তৈরি করতে হবে এমন ভাবে, যেখানে একই সঙ্গে জমি, পরিবহণ-সহ সব ধরনের তৈরি পরিকাঠামো পায় লগ্নিকারী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement