অনলাইন গেম, ক্যাসিনো, ঘোড়দৌড়ে জিএসটি নিয়ে মঙ্গলবারও ঐকমত্য হল না। প্রতীকী ছবি।
গত সাড়ে চার মাসে একবারও জিএসটি পরিষদের বৈঠক ডাকা হয়নি। এক বছরের বেশি আগে দু’টি জিএসটি বিষয়ক মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরি হলেও বিতর্কের ফয়সালা হয়নি। এ নিয়ে বিরোধী শিবির থেকে প্রশ্ন উঠতেই তড়িঘড়ি মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক ডাকা হল। কিন্তু অনলাইন গেম, ক্যাসিনো, ঘোড়দৌড়ে জিএসটি নিয়ে মঙ্গলবারও ঐকমত্য হল না।
গত সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এবং অর্থ বিভাগের প্রধান মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্র কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, অর্থবর্ষের প্রতি ত্রৈমাসিকে অন্তত একবার জিএসটি পরিষদের বৈঠক ডাকার নিয়ম হলেও সাড়ে চার মাসে তা হয়নি। অনলাইন গেম-ক্যাসিনো-ঘোড়দৌড়ে জিএসটি ও জিএসটি-র হারে রদবদল করতে দু’টি মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। এক বছরের বেশি সময় কাটলেও রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়নি।
অর্থ মন্ত্রক সূত্রে খবর, এর পরেই সরকারি স্তরে তৎপরতা শুরু হয়। মঙ্গলবার বিকেলে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নেতৃত্বে অনলাইন গেম-ক্যাসিনো-ঘোড়দৌড়ে জিএসটি ঠিক করতে মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক ডাকা হয়। ২৮% জিএসটি ঠিক হলেও কী ভাবে তা চাপানো হবে, সে বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি। মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্য, পশ্চিমবঙ্গের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, পশ্চিমবঙ্গ-উত্তরপ্রদেশ আগের অবস্থানেই অনড় ছিল। বাকি রাজ্যগুলিও তাই। গত বৈঠকে সলিসিটর জেনারেলের আইনি পরামর্শ চাওয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে আইনি পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ নেই। তাই প্রত্যেকের বক্তব্য রিপোর্ট আকারে জিএসটি পরিষদে পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ লিখিত ভাবে তাদের বক্তব্য জমা দিয়েছে। গোয়া লিখিত বক্তব্য জানায়নি। সূত্রের খবর, জিএসটি-র যুক্তিসঙ্গত হার ঠিক করতে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নেতৃত্বে মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকও শীঘ্র ডাকা হবে। তার পরে জিএসটি পরিষদের বৈঠক বসবে।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বাজেটের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করবেন। রাজ্যে বিধানসভা অধিবেশন চলছে বলে চন্দ্রিমা তাতে যোগ দিতে পারবেন না। তিনি চিঠি দিয়ে সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তবে অর্থসচিব মনোজ পন্থ বা অন্য আধিকারিকরা যেতে পারেন।