Indian Econo

সমীক্ষার আগেই অগ্রগতির দাবি, কটাক্ষ বিরোধীদের

সোমবার জানুয়ারির আর্থিক পর্যালোচনা রিপোর্ট প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক জানাল, এখনকার বাজারদরের নিরিখে অর্থনীতি ছুঁয়েছে ৩.৭ লক্ষ কোটি ডলার।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:০২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সম্প্রতি শিল্পমহলে জল্পনা ছড়িয়েছিল, ভারতীয় অর্থনীতি কি ৪ লক্ষ কোটি ডলারের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছে! সেই সময়ে সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি। সোমবার জানুয়ারির আর্থিক পর্যালোচনা রিপোর্ট প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক জানাল, এখনকার বাজারদরের নিরিখে অর্থনীতি ছুঁয়েছে ৩.৭ লক্ষ কোটি ডলার। তাদের বক্তব্য, বিশেষত বিশ্ব অর্থনীতিতে বিভিন্ন ঝুঁকি সত্ত্বেও আগামী তিন বছরের মধ্যে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হয়ে উঠবে ভারত। এখনকার পঞ্চম স্থান থেকে উঠে আসবে তৃতীয় স্থানে। এই অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে ২০১৪ সাল থেকে টানা সংস্কারমূলক পদক্ষেপ। বিরোধীরা অবশ্য এই রিপোর্টকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তারা মূলত অস্ত্র করেছে ক্রমবর্ধমান আর্থিক অসাম্য ও চড়া মূল্যবৃদ্ধির সমস্যাকে। তাদের বক্তব্য, নির্দিষ্ট সময়ে লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ হয়ে ফের ৫ লক্ষ কোটি ডলারের গোলপোস্ট পিছিয়ে দিল মোদী সরকার।

Advertisement

এ দিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘‘দেশে বেকারত্ব যখন ৪০ বছরের শীর্ষে, তখনই নোটবন্দি ও জিএসটি কার্যকর হয়। তার বিরূপ প্রভাব বেশি পড়েছে দরিদ্র মানুষ, শ্রমিক, ছোট দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের উপরে। তাঁরা আর্থিক অবিচারের আগুনে দগ্ধ হচ্ছেন।’’

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার আগের দিন দেশের প্রধান আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরনের আর্থিক সমীক্ষা প্রকাশ করার কথা। তার ঠিক দু’দিন আগে নতুন পথে হেঁটে মাসিক আর্থিক পর্যালোচনা প্রকাশ করল তাঁরই দফতর। সম্ভাব্য বিভ্রান্তি দূর করতে সেখানেও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এটি আর্থিক সমীক্ষা নয়’।

Advertisement

রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ১০ বছরে সংস্কারমূলক বহু পদক্ষেপ হয়েছে। যার ফলে অতিমারির ধাক্কায় বহু দেশ বিপাকে পড়লেও ভারতের পক্ষে সেই ঝুঁকি থেকে বার হয়ে আসা সহজ হয়েছে। আগামী দিনেও অপ্রত্যাশিত সমস্যার সমাধানে তা অর্থনীতিকে সাহায্য করবে।

বিরোধীদের অবশ্য বক্তব্য, দেশে অর্থনীতির চাকায় গতি ফিরলেও গ্রামীণ ভারত এখনও তার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না। প্রভাব পড়ছে বিক্রিবাটায়। এ দিন এক্স-এ একটি রিপোর্ট শেয়ার করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। সেখানে উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র তথ্য উল্লেখ করে দাবি করা হয়েছে, মূল্যবৃদ্ধি ধরে মোদী জমানার গোড়ার দিকে গ্রামাঞ্চলের শ্রমিকদের প্রকৃত দৈনিক মজুরি ছিল ৪.৮ ডলার। এক দশক পার করেও তা প্রায় একই জায়গায় থেকে গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement