—প্রতীকী চিত্র।
বুধবার চলতি বছরের (২০২৩) শেষ ঋণনীতি বৈঠকে বসেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। শুক্রবার সুদ নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন শীর্ষ ব্যাঙ্ক গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ বারও রেপো রেটে (যে সুদে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয় আরবিআই) বদল করবে না
তারা। তা ধরে রাখা হবে ৬.৫ শতাংশে। তবে বাড়ানো হতে পারে আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস। ৬.৫% থেকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে ৬.৮ শতাংশে।
গত বছরে মাত্রা ছাড়ানো মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে টানা সুদ বাড়ানোর পথে হেঁটেছিল শীর্ষ ব্যাঙ্ক। সব মিলিয়ে ২০২২ সালের মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রেপো রেট মোট ২৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ায় তারা। তা পৌঁছয় ৬.৫ শতাংশে। ফেব্রুয়ারির ঋণনীতি থেকে সুদ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
এ দিকে দেশে মূলত খাদ্যপণ্যের দাম কমায় খুচরো মূল্যবৃদ্ধি নেমেছে শীর্ষ ব্যাঙ্কের ৬ শতাংশের সহনসীমার নীচে। অক্টোবরে হয়েছে ৪.৮৭%। পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধি গত কয়েক মাস ধরেই শূন্যের নীচে। সরকারি খরচ বাড়ায় জুলাই-সেপ্টেম্বরে আর্থিক বৃদ্ধি ৭.৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
ডয়েশ ব্যাঙ্ক, মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার, ইউনিয়ন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ফিক্সড ইনকাম বিভাগের প্রধান পারিজাত আগরওয়ালের মতে, পণ্যের দাম কমলেও তা যে কোনও সময়ে মাথা তোলার সম্ভাবনা থাকছে। যে কারণে আরবিআই এই ঋণনীতিতে ধীরে চলো নীতি নেবে বলে মনে হয়। সে ক্ষেত্রে সুদে বদল হওয়ার সম্ভাবনা কম। মেডিক্যাল টেকনোলজি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার সঞ্জয় ভুটানির ধারণা, ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ সুদ কমাতে পারে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। তা হলে স্বস্তি পাবে শিল্প ক্ষেত্র।