—প্রতীকী চিত্র।
তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার যেমন বাড়ছে, তেমনই মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে তথ্যের নিরাপত্তা ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা। সাইবার সুরক্ষা বিষয়ক সংস্থা আইবিএম সিকিউরিটির বার্ষিক সমীক্ষা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভারতের বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থায় তথ্যের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া এবং তথ্য চুরির ঘটনায় গড় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২০২৩ সালে পৌঁছে গিয়েছে ১৭.৯ কোটি টাকায়। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ২০২০ সালের তুলনায় ২৮% বেশি। কিন্তু সংস্থাগুলির একাংশ তাদের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো না করে, এই ক্ষতির বোঝা ঘাড় থেকে নামাতে তা ক্রেতাদের উপরে চাপাচ্ছে বলেও রিপোর্টে উঠে এসেছে।
আইবিএম সিকিউরিটি জানিয়েছে, ইন্টারনেটে ফাঁদ পেতে তথ্য চুরি (২২%) এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁক গলে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার (১৬%) ঘটনাই সবচেয়ে বেশি হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির জগতে। আর সেই চুরি চিহ্নিত করা এবং তা নিয়ন্ত্রণের খরচ বেড়েছে ৪৫%। সংস্থাগুলি জানিয়েছে, এই কাজ সব থেকে দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে কৃত্রিম মেধা (এআই) এবং স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার (অটোমেশন) মাধ্যমে। অথচ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৮০% সংস্থাই এগুলি যৎসামান্য ব্যবহার করে (৩৭%) অথবা একেবারেই করে না (৪৩%)।
সারা বিশ্বে যে সমস্ত সংস্থার মধ্যে সমীক্ষা চালানো হয়েছে, তাদের ৯৫ শতাংশই একাধিক বার তথ্য চুরির শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে। আর সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, তাদের মধ্যে ৫৭ শতাংশই সেই আর্থিক ক্ষতির বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে ক্রেতাদের ঘাড়ে। আর ৫১% তথ্য নিরাপত্তাকে পোক্ত করতে খরচ বাড়িয়েছে। ভারতে যে সমস্ত সংস্থা এআই এবং অটোমেশনের সাহায্য নিচ্ছে, তথ্য চুরির ফলে তাদের গড় আর্থিক লোকসানের অঙ্ক বাকিদের থেকে অনেকটাই কম।