প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রের বহুল প্রচারিত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের নীতি দেশের আর্থিক ক্ষেত্রে উপকারের থেকে বেশি অপকার করতে পারে— এমন আশঙ্কাই প্রকাশ করা হল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের এক নিবন্ধে। সেখানে বলা হয়েছে, বেসরকারি ব্যাঙ্ক মুনাফা বাড়াতে পারদর্শী হলেও সমাজের সব স্তরে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার দায় বহন করে রাষ্ট্রায়ত্তগুলি। ফলে তারা বেসরকারি হাতে গেলে মার খেতে পারে সকলকে উন্নয়নে শামিল করার যজ্ঞ। তবে নিবন্ধের মতামত আরবিআইয়ের সঙ্গে মিলতে না পারে বলেও জানানো হয়েছে।
নিবন্ধে লেখকের বার্তা, ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের ভাল-মন্দ সকলেই মোটামুটি জানেন। দীর্ঘ কাল ধরে একটা ধারণা চলে আসছে, বেসরকারি হাতে যাওয়াই ব্যাঙ্ক শিল্পে সকল রোগ সারানোর দাওয়াই। কিন্তু বাস্তবে বেসরকারিকরণের পথে গেলেও সে ব্যাপারে ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করা জরুরি। যাতে সরকারের সকলকে উন্নয়নে শামিল করার কর্মকাণ্ড এবং সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া বাধা না পায়। সেখানে এটাও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির হিসাবের খাতা দুর্বল বলে অভিযোগ তোলা হলেও তারা কোভিডের সমস্যা সামলেছে দক্ষ ভাবে। সম্প্রতি আর্থিক ফলও ভাল হচ্ছে। বাড়াচ্ছে বাজার দখল।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি বহু দিন ধরেই চড়া অনুৎপাদক সম্পদে কাহিল। হালে যা কমছে। নিবন্ধে পরামর্শ, জাতীয় ঋণ পুনর্গঠন সংস্থার মাধ্যমে এই বোঝার হাত থেকে নিষ্কৃতি মিলবে।