—প্রতীকী চিত্র।
সময়ের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের পরিসর বাড়ছে। ফলে শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন-সংবহন-বণ্টনের পরিকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজন পূরণেই আবদ্ধ নেই সহযোগী যন্ত্রাংশ শিল্প। সৌর-সহ বিকল্প বিদ্যুতে বাড়তি নজর তাদের মধ্যে সার্বিক ভাবে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও সেগুলির মধ্যে সমন্বয়কারী ব্যবস্থার প্রসারেরও সুযোগ ঘটাচ্ছে। যন্ত্রাংশ তৈরির সঙ্গে মাথা তুলছে যাদের আনার চাহিদা। যা উদ্ভাবনী ভাবনার দরজা খুলছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে স্টার্ট আপগুলিকে (নতুন উদ্যোগ) নিয়ে পথ চলার বার্তা দিল বৈদ্যুতিক ও বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশ সংস্থাগুলির সংগঠন আইইইএমএ।
বুধবার থেকে রাজারহাটের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে শুরু হল তিন দিনব্যাপী পূর্ব ও উত্তর-পূর্বের এই যন্ত্রাংশ শিল্পের সম্মেলন ও প্রদর্শনী (ই৩)। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ও তার পরে আইইইএমএ-র কর্তারা এখন বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের পরিসর, প্রসার ও নতুন সুযোগের কথা তুলে ধরেন। সংগঠনের ভাবী প্রেসিডেন্ট সুনীল সিঙ্ঘভি, ভাইস প্রেসিডেন্ট বিক্রম গনদোত্রা বলেন, স্মার্ট মিটার-সহ বণ্টন পরিষেবার উন্নয়ন সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের (আরডিএসএস) সূত্রে চার-পাঁচ বছরে এই ক্ষেত্রে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকার লগ্নি হবে। অর্ধেক করবে সরকার। বাকি অর্ধেকটা বেসরকারি শিল্প।
তাঁদের দাবি, ছাদে সৌর বিদ্যুৎ, পাম্পড স্টোরেজ প্রকল্পে জলবিদ্যুৎ-সহ নানা বিকল্প বিদ্যুৎ প্রসারের কথা বলছে সরকার। সে ক্ষেত্রে গ্রিডের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করা কিংবা বিদ্যুৎ সঞ্চয়ের জন্য পরিকাঠামো নির্মাণ ও একাধিক ব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয় জরুরি। কৃত্রিম মেধা বা মেশিন লার্নিং-এ মতো আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারও এ ক্ষেত্রে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা। রয়েছে সাইবার হানা ঠেকানোর মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তাও। তাই নানা ক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবনী ভাবনা প্রয়োজন। যে সুযোগ নিতে পারে স্টার্ট-আপগুলি। আইইইএমএ জানিয়েছে, কলকাতায় তাদের নির্মীয়মাণ অফিসে এ জন্য থাকবে ইনকিউবেশন সেন্টার। গত এক বছরে দেশের ২০টি এমন সংস্থাকে নিয়ে কাজ হয়েছে। সদ্য তাতে যোগ দিয়েছে আরও ১২টি।