কেনাবেচা: ধনতেরসে কলকাতায় গয়না বিপণিতে। ছবি: রণজিৎ নন্দী।
মাসখানেক ধরে ওঠানামা করছে সোনার দাম। ধনতেরসের মুখে গত এক সপ্তাহে ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট পাকা সোনা ১১০০ টাকা কমেছিল। শুক্রবার অবশ্য উল্টো পথে হেঁটে তা ৪০০ টাকা বাড়ল। তবে বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, ধনতেরসের প্রথম দিনে সোনা দামি হওয়ার বিরূপ প্রভাব কার্যত পড়েনি। ক্রেতারা ভিড় জমিয়েছেন বিপণিতে।
এ বার ধনতেরস দু’দিনের, শুক্র ও শনিবার। গয়না বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, শুধু শহর কলকাতা নয়, জেলাগুলিতেও ক্রেতাদের মধ্যে গয়না কেনার আগ্রহ দেখা গিয়েছে। শহরের বহু বিপণি রাত পর্যন্ত খোলা ছিল। এ দিন শ্যামসুন্দর জুয়েলার্সের কর্তা রূপক সাহা বলেন, “কিছু দিন আগেও সোনার দাম অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় ধনতেরসের বিক্রি নিয়ে আমাদের মনে ভয় ছিল। কিন্তু সম্প্রতি দাম বেশ কিছুটা কমেছে। তাতে ক্রেতাদের মধ্যে একটা ইতিবাচক সাড়া দেখতে পাচ্ছি। তাঁরা সোনা-রুপোর গয়না, বাসন কিনছেন। সোনা-রুপোর মুদ্রার চাহিদাও ভাল।’’ বৌবাজারের গিনি এম্পোরিয়ামের কর্ণধার সমর দে-র কথায়, “শুরুটা দেখে মনে হচ্ছে বেশ কয়েক বছর পর এ বার ধনতেরসে খুব ভাল বিক্রি হবে। আমরা রাত ২টো পর্যন্ত দোকান খোলা রাখছি।’’ প্রথম দিনের ব্যবসায় সারা দেশে তাঁদের বিপণিগুলিতে একই অভিজ্ঞতার দাবি করেছেন ডি বিয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট অমিত প্রতিহারি।
প্রায় সমান তালেই দৌড় শুরু করেছে জেলা। বনগাঁর গয়না বিক্রেতা বিনয় সিংহ জানান, “মফস্সল এলাকায় দিনেই কেনাকাটা বেশি হয়। বহু দিন পর এ দিন দুপুরে আমাদের দোকানের বাইরে ক্রেতাদের লাইন দেখছি।’’ ছোট দোকানগুলিও পিছিয়ে নেই। বেলঘরিয়ার এক ছোট দোকানের মালিক মালিক তথা বঙ্গীয় স্বর্ণ শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর পোদ্দার বলেন, “ক্রেতারা আসছেন। বিক্রি ভালই হবে আশা করছি। রাজ্যে আমাদের সংগঠনের অন্য দোকানগুলিতেও ক্রেতাদের আনাগোনায় দোকানদারদের মুখে হাসি ফুটেছে।’’