ছবি পিটিআই।
সংখ্যায় অর্থনীতি
• ২০১৭-১৮ সালের ৭.২% থেকে কমে ২০১৮-১৯ সালে বৃদ্ধির হার ৬.৮%। বছরের হিসেবে তবু মুঠোয় দ্রুততম বৃদ্ধির তকমা।
• ২০১৯-২০ সালের সম্ভাব্য বৃদ্ধি ৭%।
• খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ৪% লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই (৩.৪%)।
• রাজকোষ ঘাটতি ২০১৭-১৮ সালের ৩.৫% থেকে কমে ৩.৪%। আগামী দিনেও তাতে রাশ টানার পরামর্শ।
• জিডিপি-র সাপেক্ষে মোট ধার ৪৪.৫%।
• আগের থেকে কিছুটা বাড়লেও, মাত্রাছাড়া নয় চলতি খাতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনে ঘাটতি (২.১%)।
পাখির চোখ
• ফের ৮% বৃদ্ধি নিশ্চিত করা এবং সেই হার বহাল রাখা।
• ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হয়ে ওঠা ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে।
• বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম শক্তি হওয়া। প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী চিনের পথে হেঁটেই।
আশার আলো
• ২০১১-১২ সাল থেকে প্রায় লাগাতার কমার পরে ২০১৭-১৮ থেকে ফের মুখ তুলছে বেসরকারি লগ্নি।
• মূল্যবৃদ্ধি ও রাজকোষ ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে। ফলে সস্তায় (কম সুদে) ঋণ জোগাড় করায় সুবিধা হতে পারে শিল্পের।
• কিছুটা হলেও কমেছে অনুৎপাদক সম্পদ। সহজ হবে ব্যাঙ্কে ঋণ পাওয়া।
• কেন্দ্রে স্থিতিশীল সরকার থাকায় আগ্রহ বাড়তে পারে বিদেশি লগ্নিকারীদের।
কিন্তু আশঙ্কা
• সারা দেশে বৃষ্টি ভাল না হলে, ধাক্কা খাবে কৃষি। গ্রামাঞ্চলে তলানিতে ঠেকবে চাহিদা। চাহিদার খরায় ভোগা অর্থনীতির পক্ষে একেবারেই সুখবর নয়।
• আগের তুলনায় বেসরকারি লগ্নি সামান্য মুখ তুললেও, এখনও তার জোয়ার নেই।
• বিদেশি বিনিয়োগের বড় অংশও আসছে মূলত শেয়ার হাতবদলে। নতুন প্রকল্পে না এলে সম্ভাবনা নেই কাজের সুযোগ তৈরির।
• এনবিএফসি-সমস্যার সমাধানের খোঁজ মেলেনি এখনও। চোখে পড়ার মতো কমেছে তাদের দেওয়া ঋণ।
• বৃদ্ধি কিছুটা থমকেছে বিশ্ব অর্থনীতিরও। ফলে চট করে রফতানি বৃদ্ধি কঠিন।
• এড়ানো কঠিন হবে চিন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের বিরূপ প্রভাব।
• ২০১৮-১৯ সালে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেড়েছে ব্যারেলে ১৪ ডলার। ডলারের সাপেক্ষে দর কমেছে টাকারও। এই প্রবণতা বজায় থাকলে কঠিন হবে বাণিজ্য ও চলতি খাতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের ঘাটতিতে রাশ টেনে রাখা।
এখন দাওয়াই
• অর্থনীতির চাকায় গতি ফেরাতে বেসরকারি লগ্নিই প্রধান চাবিকাঠি। তা বাড়াতে জোর জিডিপির সাপেক্ষে সঞ্চয় বৃদ্ধিতে।
• চাহিদা চাঙ্গায় রফতানি বাড়ানোয় জোর।
• পরিকাঠামোর মতোই ডেটা-কে ‘পাবলিক গুড’ করার প্রস্তাব। টাকা না গুনেও যা ব্যবহারের অধিকার থাকে।
• লগ্নিকারীদের স্বস্তি দিতে মামলা ঝুলে থাকা রুখতে বিচার ব্যবস্থার সংস্কার।
• ভর্তুকি ছাঁটাই, স্বচ্ছ দেশ গড়ার মতো কাজের জন্য অস্ত্র হতে পারে অর্থনীতির কৌশলে অভ্যাস বদল (বিহেভিয়ারাল ইকনমিক্স)।
• কর্মসংস্থান বাড়াতে ছোট সংস্থাকে উৎসাহ। তবে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।