—প্রতীকী চিত্র।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ বাড়ায়নি। তবু তহবিল সংগ্রহের খরচের ভিত্তিতে ঋণে হিসাব করা সুদের হার (এমসিএলআর) ১০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে দিল কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। যার মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্ক অব বরোদা, কানাড়া ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র। এর ফলে এমসিএলআর ভিত্তিক সমস্ত ঋণে সুদ বাড়বে। এই সব ব্যাঙ্কে বিভিন্ন ধার শোধের মাসিক কিস্তির (ইএমআই) খরচ চড়বে।
শুক্রবার ব্যাঙ্ক অব বরোদা এবং কানাড়া ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ৫ বেসিস পয়েন্ট করে বাড়ানোয় তাদের এমসিএলআর হয়েছে ৮.৭০%। ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্রে তা ১০ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৮.৬০%।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক বৃহস্পতিবার রেপো রেট (যে সুদে আরবিআই ব্যাঙ্কগুলিকে ধার দেয়) এক রেখেছে। এই নিয়ে ফেব্রুয়ারি পর থেকে তিনটি ঋণনীতিতেই তা ৬.৫% রইল। ফলে ইএমআই আপাতত সুদ আর বাড়ার আশঙ্কা নেই ভেবে নিশ্চিন্ত ছিলেন ঋণের বর্ধিত খরচে হিমশিম খাওয়া বহু মানুষ। কিন্তু তার পরেও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি সুদ বাড়াল কেন, উঠছে প্রশ্ন। বাকিরাও একই পথে হাঁটবে কি না, তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।
ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞ ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিএমডি ভাস্কর সেন বলছেন, “প্রতিটি ব্যাঙ্কে তাদের অ্যাসেট লায়াবিলিটি কমিটি সুদ বাবদ আয়-ব্যয় খতিয়ে দেখে তার হার বদল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। হালে ঋণের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু আমানত বৃদ্ধির হার তার থেকে কম। তাই ঋণের চাহিদা মেটাতে আমানত সংগ্রহে যে জোর দিতে হবে, তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছে ব্যাঙ্কগুলি। সে জন্য বাড়াতে হতে পারে আমানতে সুদের হার। আমার ধারণা, সেটা আঁচ করেই একাংশ আগেভাগে ঋণের উপর সুদ বাড়িয়ে রাখল।’’