—প্রতীকী চিত্র।
ইডির ভুয়ো নোটিস। সিবিআইয়ের নাম করে ভুয়ো গ্রেফতারি পরোয়ানা। অনলাইনে অবিকল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাস সাজিয়ে শুনানি! সেখানে প্রধান বিচারপতির ভেক ধরে বসে প্রতারক। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের ভুয়ো নির্দেশের কপিও। তাতে রয়েছে ৭ কোটি টাকা জরিমানা জমার নির্দেশ!
পদ্মভূষণ প্রাপ্ত, পঞ্জাবের বস্ত্র ব্যবসায়ী এস পি ওসওয়ালকে ঠকিয়ে এই ভাবেই সাইবার প্রতারকেরা বিপুল টাকা আদায় করে। গোটা প্রক্রিয়ার পোশাকি নাম ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’। অসম পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে পঞ্জাবের লুধিয়ানার পুলিশ ওই চক্রের ২ জনকে ধরেছে গুয়াহাটি থেকে। ধৃত অন্তু চৌধুরি ও আনন্দকুমার চৌধুরির থেকে উদ্ধার হয়েছে ভুয়ো অ্যাকাউন্টে আদায় করা ৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। দেশের মধ্যে সাইবার অপরাধীদের ধরে একসঙ্গে এত টাকা উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম। প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মী রুমি কলিতা, নিম্মি ভট্টাচার্য, অলোক রঙ্গি, গুলাম মুর্তাজা ও জ়াকিরের সন্ধান চলছে। সকলেই অসম ও পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।
ওসওয়াল জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর অচেনা নম্বর থেকে আসা ফোনে তাঁকে ৯ ডায়াল করতে বলা হয়েছিল। ৯ টেপার পরে অন্য প্রান্তে সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে কেউ বলে, ওসওয়ালের নামে থাকা কানাড়া ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে অবৈধ লেনদেন হয়েছে, যার সঙ্গে যোগ মিলেছে জেট এয়ারওয়েজ়ের গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন চেয়ারম্যান নরেশ গয়ালের। ওসওয়ালের ওই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট না থাকলেও ভুয়ো অফিসার বলে, তাঁর নাম, ছবি, আধার কার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তাঁকে ভিডিয়ো কল করা হয়। তার পরেই একে একে ঘটতে থাকে ভুয়ো আদালত, গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং টাকা দেওয়ার নির্দেশ।