শুধু দার্জিলিঙেই পর্যটকদের জন্য ৮৩টি ‘ট্রেকিং রুট’ চিহ্নিত করেছে রাজ্য। লক্ষ্য, সেই পথের হদিস দিয়ে দেশি-বিদেশি পর্যটক টানা। আগামী সপ্তাহে বণিকসভা সিআইআইয়ের পর্যটন সম্মেলন— ‘ডেস্টিনেশন ইস্ট’-এ ৪০টি দেশের ১০০টিরও বেশি বিদেশি পর্যটন সংস্থার সামনে পশ্চিমবঙ্গের অন্য পর্যটন সম্ভারের সঙ্গে এই ছবিও তুলে ধরবে রাজ্য।
বিশ্ব বাজারে রাজ্য-সহ পূর্বাঞ্চলে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা তুলে ধরতে প্রতি বছর ওই সম্মেলন করে সিআইআই। রাজ্যও তার সঙ্গী। মঙ্গলবার সেই উপলক্ষে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের পর্যটন সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী জানান, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯-এর এপ্রিল-নভেম্বরে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেছেন ১৩.৩% বেশি বিদেশি পর্যটক। যেখানে ওই সময়ে জয়পুর, দিল্লি, মুম্বইয়ে তা কমেছে। পর্যটক বৃদ্ধির হারেও বেঙ্গালুরু, চেন্নাইকে পেছনে ফেলেছে এই শহর।
নন্দিনীর দাবি, শীঘ্রই রাজ্যের পর্যটন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের একটি অ্যাপ বাজারে আনবে রাজ্য। জোর দেওয়া হবে নদী, ঐতিহ্যশালী, সার্কিট ভিত্তিক পর্যটনেও। আর পর্যটন বাড়লে রাজ্যে কর্মসংস্থানও বাড়বে।
অতীতে এই সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই ভিন্ দেশি পর্যটন সংস্থার একাংশ এ রাজ্যের পর্যটন সংক্রান্ত মূলত দু’টি সমস্যার কথা তুলে ধরেছিল। প্রথমত, দার্জিলিং ও সুন্দরবন ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বিপুল সম্ভার কার্যত অজ্ঞাতই থাকছে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে। দ্বিতীয়ত, সফরের সময়ে, বিশেষত সড়কপথে বিশ্রাম বা খাওয়া-দাওয়ার উপযুক্ত মানের ব্যবস্থা ও পরিকাঠামোর অভাব। নন্দিনী জানান, ইতিমধ্যেই এমন বেশ কিছু পরিকাঠামো গড়ে উঠৈছে। যৌথ উদ্যোগে আরও নতুন তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে।