রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি: রয়টার্স।
সারা বিশ্বের অন্তত ৩৩০ কোটি মানুষ এমন সমস্ত দেশে বসবাস করেন যাদের ঋণের সুদ মেটাতেই শিক্ষা খাতের চেয়ে বেশি খরচ হয়। এই জনসংখ্যা বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি— বৃহস্পতিবার একটি নতুন রিপোর্ট প্রকাশ করে এমন কথাই জানালেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর বক্তব্য, এই বিপুল ঋণের বোঝা মূলত জমে রয়েছে দরিদ্র উন্নয়নশীল দেশগুলিতে। এটা যতটা না ব্যবস্থাগত সমস্যা, তার চেয়েও বেশি ব্যবস্থাগত ব্যর্থতা। সেপ্টেম্বরের ৯-১০ সেপ্টেম্বর ভারতে জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সম্মেলন হবে। বিপুল এই ঋণের সমস্যার সমাধান এবং আর্থিক ব্যবস্থার সমাধানের একটা সুযোগ মিলবে সেখানে।
আজ রিপোর্ট থেকে উল্লেখ করে গুতেরেস জানান, ২০২২ সালে বিশ্বের সমস্ত দেশের সরকারি ঋণের অঙ্ক ৯২ লক্ষ কোটি ডলার ছুঁয়ে নতুন নজির তৈরি করেছে। এর বড় একটি অংশ রয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলির কাঁধে।২০১১ সালে ঋণের ভারে ন্যূব্জ এই ধরনের দেশের সংখ্যা ছিল ২২। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৫৯। মহাসচিব আরও জানান, সরকারি ঋণ এই জায়গায় পৌঁছনোর কারণ মূলত দু’টি। প্রথমত, করোনার ঢেউ, জীবনযাপনের খরচ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করার জন্য বিপুল ঋণ নিতে হয়েছিল সরকারগুলিকে। সেটাই এখন সুদে-আসলে আরও ভারী হয়ে চেপে বসেছে ঘাড়ে। দ্বিতীয়ত, দরিদ্র উন্নয়নশীল দেশগুলির কাছে ঋণের সূত্র দুর্গম হচ্ছে এবং তার সুদও হচ্ছে আরও চড়া। বিশেষত বেসরকারি ঋণদাতারা মাত্রাতিরিক্ত ঋণ নিচ্ছে দরিদ্র দেশগুলির থেকে। এর ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে অতিদারিদ্র ঘোচানোর যে লক্ষ্যমাত্রা রাষ্ট্রপুঞ্জ নিয়েছিল, তা ছোঁয়া কঠিনতর হয়ে পড়ছে। কারণ, তার জন্য যে পুঁজি প্রয়োজন, তা নেই দরিদ্র দেশগুলির কাছে।