প্রতীকী ছবি
গত দুই অর্থবর্ষে কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের সদস্য সংখ্যা ১.৩৯ কোটি বেড়েছে। ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ সালে নতুন কত জন সদস্য প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রকল্পে যোগদান করেছেন, তার পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। ২০১৮-১৯ সালের তুলনায় ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে নতুন সদস্যের সংখ্যা বেড়েছে ৭৮.৫৮ লক্ষ। বৃদ্ধির হার ২৮ শতাংশ। ফলে বর্তমানে পিএফের সদস্য সংখ্যা ৬ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে।
দেশে নতুন চাকরি কতগুলি হচ্ছে তার প্রমাণ হিসেবে অনেক সময়েই কেন্দ্র পিএফের আওতায় নতুন কত জন নাম লিখিয়েছেন, সেই সংখ্যার কথা উল্লেখ করে থাকে। কিন্তু পিএফ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অনেকেরই মতে, পিএফের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি মানেই নতুন চাকরি হচ্ছে, এমনটা ভাবা ঠিক নয়। অনেক সময় অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা যখন সংগঠিত ক্ষেত্রে কাজে যোগ দেন, তখনও তাঁরা পিএফের সদস্য হন।
২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অর্থিক সমীক্ষাই জানিয়েছে, দেশে অসংগঠিত ক্ষেত্র থেকে সংগঠিততে আসা সংস্থার সংখ্যা বাড়ছে। সেগুলির কর্মীদেরও নতুন সদস্য হিসেবে দেখান পিএফ কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া, সংগঠিত ক্ষেত্রের সব সংস্থারই পিএফের নথিভুক্তি বাধ্যতামূলক। কিন্তু বাস্তবে সকলে হয় না। সেগুলির মালিকদের নথিভুক্ত করার জন্য জরিমানা মকুব-সহ নানা সুবিধা দিয়ে বিশেষ প্রকল্প এনেছিলেন পিএফ কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমেও এতে নাম লেখানোর সংখ্যা বেড়েছে।