Patanjali

কেন রোজ দু’চামচ চবনপ্রাশ খাওয়া উচিত?

৫১ রকমের উপাদানে সমৃদ্ধ পতঞ্জলি চ্যবনপ্রাশে রয়েছে আমলকী, ওষধি উদ্ভিদ, উদ্ভিদের মূল, ভেষজ নির্যাস এবং প্রক্রিয়াজাত খনিজ পদার্থ।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:২৩
Share:

পতঞ্জলি চ্যবনপ্রাশ

শীত পড়ছে। আবহাওয়ার বদল মানেই জ্বর, সর্দি, কাশির আশঙ্কা। এই সময়ে শরীর ঠিক রাখতে চাই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। হাতের কাছেই রয়েছে এমন এক ভেষজ মিশ্রণ, যা আমাদের সমস্ত রোগ, সংক্রমণ থেকে দূরে রেখে সুস্থ রাখে। এই ভেষজ মিশ্রণের নাম চ্যবনপ্রাশ, যা এক কথায় অমৃতসম। এই মিশ্রণ শরীর থেকে সব বিষাক্ত পদার্থ দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ৫১ রকমের উপাদানে সমৃদ্ধ পতঞ্জলি চ্যবনপ্রাশে রয়েছে আমলকী, ওষধি উদ্ভিদ, উদ্ভিদের মূল, ভেষজ নির্যাস এবং প্রক্রিয়াজাত খনিজ পদার্থ। প্রাকৃতিক ও আয়ুর্বেদিক গুণে ভরপুর চ্যবনপ্রাশ শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে বলেই দেশের ঘরে ঘরে এর দেখা মেলে। এই ভেষজ মিশ্রণ শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে সক্রিয়তা বাড়ায়। তবে এখনও অনেকে চ্যবনপ্রাশের গুণাগুণ সম্পর্কে সন্দিহান। প্রাকৃতিক উপাদানে সমৃদ্ধ এই আয়ুর্বেদিক ঔষধি শরীর ও মন সুস্থ রাখতে ঠিক কতটা কার্যকরী, রইল তারই সুলুক সন্ধান।

৫০০০ বছরের এই প্রাচীন ওষুধকে কেন জীবনধারার অঙ্গ করা উচিত?

বাজার ছেয়ে আছে রাসায়নিকে ঠাসা সাপ্লিমেন্টে। তাই এর মাঝে যদি আপনি সুস্থ ও সচল থাকার কোনও প্রাকৃতিক উপাদান খোঁজেন, তা হলে চ্যবনপ্রাশ আপনার জন্য আদর্শ। এনএলএম(NLM)-এর একটি রিপোর্ট বলছে, আমলকী, লেবু, বেল, অগ্নিমন্থ, কাশ্যমার্য, সোনাপাতা, গোক্ষুর, সর্পগন্ধা, ব্রুহতি, কন্টিকারি, আকরকরা, দ্রক্ষ, হরিতকী, গুলঞ্চ, বলা, ভুঁই আমলকী, বাসা, জীবন্তি, কচু, পুষ্করমূল, মুস্তা, মুলেঠি, মাষপারনি, শালপারনি, পিঠবন, পিপ্পলি, বাঘনখ ফল, বারাহি, বিদারি কাণ্ড, পুনর্ণবা, নীলকমল, আগর, চন্দন, শতমূলী এবং অশ্বগন্ধা-র উপস্থিতি চ্যবনপ্রাশের পৌষ্টিক ও ঔষধি গুণাগুণকেই বৈধতা দেয়। আপামর বিশ্ববাসী ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া ও জীবনযাপনের দিকে ঝুঁকছে। তাই চ্যবনপ্রাশের মতো প্রাকৃতিক সম্পদকে আপন করে নেওয়ার এটাই সেরা সময়।

এই ভেষজ পেস্টে আপনার জন্য কী আছে?

কথায় বলে, আমাদের খাদ্যাভ্যাসই আমাদের গড়ে তোলে। বর্তমানে এটা সর্বৈব সত্যি। পরিষ্কার খাওয়াদাওয়া, প্রক্রিয়াজাত (লো-ভাইব্রেশন) খাবার এড়িয়ে চলা, এবং রোজকার খাবারে প্রাকৃতিক সাপ্লিমেন্ট রাখলে আমাদের জীবনে আমূল পরিবর্তন আসতে পারে। এই মিষ্টি-টক-চটপটে-ঝালঝাল স্বাদের পেস্ট প্রতিদিন খেলে আপনি নিজেই বদলটা বুঝতে পারবেন। রোজকার খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে দু’চামচ চ্যবনপ্রাশ আপনার জীবনধারায় চোখে পড়ার মতো বদল এনে দেবে।

এ ভাবেই আপনি রাসায়নিক সাপ্লিমেন্ট ছেড়ে আরও আয়ুর্বেদিক বিকল্পকে আপন করে নিতে পারেন। নিয়মিত চ্যবনপ্রাশ খেলে কী কী উপকার পেতে পারেন, তার একটা তালিকা নীচে দেওয়া হল।

প্রাকৃতিক প্রতিরোধ

বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত, যে, চ্যবনপ্রাশের ঔষধি গুণাগুণ শরীরে প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলে কাশি, হাঁপানি এবং শ্বাসকষ্টজনিত অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা করে। ঠান্ডায় আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খানিকটা দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। নিয়ম করে চ্যবনপ্রাশ খেলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। তাই এ বার শীতে আবহাওয়ার বদলের ফলে ঠান্ডা লাগা থেকে সুরক্ষিত রাখবে এই অভ্যাস।

অ্যান্টি এজিং গুণাগুণ

চ্যবনপ্রাশে থাকা সক্রিয় উপাদান দুর্বল এবং ভঙ্গুর কোষসমূহে পুষ্টি জুগিয়ে প্রাণশক্তিতে ভরিয়ে তোলে। সেগুলোকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে এবং বার্ধক্যে রাশ টানে। চরক সংহিতায় তার উপকারিতা নিয়ে সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, আপনার ত্বক হয়ে উঠবে আরও উজ্জ্বল ও দীপ্তিময়।

হজম শক্তি বাড়ায়

এই আরোগ্য মিশ্রণ হজমশক্তি বাড়িয়ে শরীরের বর্জ্য নিষ্কাশনকে ত্বরান্বিত করে। তা ছাড়া এটা বিতৃষ্ণাবোধ, বমি ভাব, বদহজম, পেট ফোলা, গ্যাস, পেপ্টিক আলসার, পেট ব্যথা সারায় এবং পাকস্থলী ও অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়। এই মিশ্রণে থাকা উপাদান রক্ত পরিশোধন করে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ সরিয়ে লিভারকে স্বাস্থ্যবান করে তোলে।

চাপ কমাতে সাহায্য করে

চ্যবনপ্রাশে আছে অশ্বগন্ধার মতো শক্তিশালী উপাদান, যার ফলে তা খেলে চাপমুক্ত থাকা যায়। শরীরে কোথাও কোনও জ্বালা হয়ে থাকলে এটি তা হ্রাস করে। শরীরে শক্তি জোগায় এবং যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতিসাধন ঘটায়।

দোষ কাটায়

ত্রিদোষ কাটানোর কার্যকরী উপায় হল পরিষ্কার ও সঠিক খাওয়াদাওয়া। রোজকার খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি চ্যবনপ্রাশ আপনাকে বাত, পিত্ত এবং কফ - এই ত্রিদোষ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। মনে রাখবেন, শরীরে সমস্ত কিছুর ভারসাম্য রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতের পতঞ্জলি স্পেশ্যাল চবনপ্রাশ

আরোগ্য গুণাগুণে ভরপুর চ্যবনপ্রাশ প্রাকৃতিক ঔষধি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এতে থাকা উপাদানগুলোর উপকারী গুণ ভারতের প্রাচীন পুঁথিতে বর্ণিত। ফলে চ্যবনপ্রাশ শরীরের জন্য কতটা ভাল, তা সহজেই অনুমেয়। তবে এর উপকারিতা নিয়ে যদি আপনার মনে কোনও সন্দেহ থাকে, তবে পরখ করে দেখতেই পারেন এর আরোগ্য গুণাগুণ। পরিষ্কার, সাশ্রয়ী এবং প্রাকৃতিক পণ্য ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে পতঞ্জলি সদা সচেষ্ট। আর তাই তৈরি করেছে পতঞ্জলি স্পেশ্যাল চ্যবনপ্রাশ। যা হল ৫০টির বেশি ভেষজ উপাদান, মশলা, ঘি, তিলের তেল এবং জাফরান সমৃদ্ধ এক অনন্য মিশ্রণ। এটি আপনার শরীর ভিতর থেকে সারিয়ে তোলে এবং ভারসাম্য আনে। নিঃসন্দেহে বলা যায়, যে পতঞ্জলি চ্যবনপ্রাশ হল

ভারতের প্রাচীন খাদ্যপ্রণালী থেকে পাওয়া এক বরদান। যা শরীরকে সারিয়ে তুলে ভারসাম্য আনতে এবং শরীরকে সার্বিক ভাবে ভাল রাখতে সাহায্য করে।

চ্যবনপ্রাশকে রোজকার জীবনযাত্রার অঙ্গ করে তুলে হয়ে উঠুন প্রাকৃতিক শক্তিতে বলবান। চামচ ভর্তি চ্যবনপ্রাশ আপনাকে আরও স্বাস্থ্যবান এবং প্রাণবন্ত করে তুলবে।

জীবনধারণ সম্পর্কে জানতে দেখুন patanjaliayurved.net

এই প্রতিবেদনটি ‘পতঞ্জলি’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন