প্রতীকী চিত্র
হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন সচেতনতা অনেকটাই বেড়েছে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা এবং চিকিৎসকের পরামর্শে হৃদরোগ সংক্রান্ত জটিলতার নিরাময় করা এখন খুব সহজেই সম্ভব। সেই সূত্রেই জেনে নেওয়া জরুরি হার্ট অ্যাটাকের সময়ে ‘গোল্ডেন আওয়ার’ কেন গুরুত্বপূর্ণ কিংবা কী এই ‘গোল্ডেন আওয়ার’।
এই বিষয়গুলি সম্পর্কে সবিস্তার জানতে নীচে দেওয়া ভিডিয়োটি দেখতে পারেন:
এইচপি ঘোষ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ইন্টারভেনশনাল কার্ডিয়োলজিস্ট, চিকিৎসক সুপ্রতীপ কুণ্ডু সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ‘গোল্ডেন আওয়ার’ সম্পর্কে সবিস্তার আলোচনা করেছেন। বলেছেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। তার নেপথ্যে যেমন আছে জেনেটিক ফ্যাক্টর, তেমনই বর্তমান সময়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের ধরনও অনেকটাই দায়ী। তাই অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে মানুষের হার্ট অ্যাটাক হয় অন্তত দশ বছর আগেই। তাই হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ, কেন হার্ট অ্যাটাক হয়, হার্ট অ্যাটাক হলে সেই মুহূর্তেই কী করবেন বা কী ভাবে বুঝবেন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘গোল্ডেন আওয়ার’ কী— এই বিষয়গুলি জেনে রাখা খুব দরকার।”
চিকিৎসক কুণ্ডুর কথায়, “হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পরের এক থেকে দেড় ঘণ্টাকে বলে ‘গোল্ডেন আওয়ার’। তাই শরীরের উপসর্গ দেখে যদি মনে হয় হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, তা হলে তৎক্ষণাৎ নিকটবর্তী কোনও হাসপাতালে গিয়ে ইসিজি করা উচিত। ইসিজি করে যদি দেখা যায় হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, তা হলে প্রাইমারি অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে রোগীকে সম্পূর্ণ রূপে সুস্থ করা যেতে পারে। সে কারণে এই ‘গোল্ডেন আওয়ার’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩৬৬৩৪৬৬৩৪
বিশদে জানতে ভিজ়িট করুন: https://hpghoshhospital.com/
এই প্রতিবেদনটি ‘এইচপি ঘোষ হাসপাতাল’—এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।