প্রতীকী ছবি
সাধারণ মানুষ আর্থ্রাইটিসকে প্রায়ই একটি রোগ ভেবে ভুল করে থাকেন। ‘আর্থ্রাইটিস’ আদতে কোনও একক রোগ নয়। ‘রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস’ (RA) এক দীর্ঘমেয়াদী রোগ, যা প্রাথমিক ভাবে অস্থিসন্ধিকে প্রভাবিত করে। ফলে অস্থিসন্ধি উষ্ণ, ফোলা এবং বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে। বেশি ক্ষণ বিশ্রামের পরে এই যন্ত্রণা বেশি অনুভূত হয়। যেখানে দুই বা ততোধিক হাড় শরীরে মিলিত হয়, সেই স্থানেই আর্থ্রাইটিসের ব্যথা বেশি হয়। অর্থাৎ এই রোগে সাধারণত কব্জি, হাতের অস্থিসন্ধিগুলি এবং হাঁটু বেশি জড়িয়ে থাকে।
ইমিউন সিস্টেমের সমস্যার কারণে বা হঠাৎ অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পেয়ে অস্থিসন্ধিতে চাপ পড়লে আর্থ্রাইটিস হতে পারে। এ ছাড়া, বার্ধক্যজনিত কারণেও আর্থ্রাইটিস হয়। এই রোগের কোনও প্রতিকার নেই। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শে যথাযথ নিয়ম মানলে বা ওষুধ খেলে এই ব্যথা অনেকটাই শিথিল করা সম্ভব।
সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এইচ পি ঘোষ হাসপাতালের অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক স্নেহাদ্রিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “বয়স্করা বিশেষ করে এখন ‘অস্টিওআর্থ্রাইটিস’-এর সমস্যায় খুবই ভুগছেন। এই সমস্যার জেরে হাঁটাচলা করতে খুবই অসুবিধা হয়। রোগের প্রভাব বাড়লে ধীরে ধীরে হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে গিয়ে হুইলচেয়ারের সাহায্য নিতে হয়। এই রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয় এবং পরর্বতী পর্যায়ে যখন অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায় তখন ‘নি-রিপ্লেসমেন্ট’ করার প্রয়োজন পড়ে।”
বিশদে জানতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন:
চিকিৎসক মুখোপাধ্যায় আরও বলেছেন, “এইচ পি ঘোষ হাসপাতালে সমস্ত ধরনের অর্থোপেডিক চিকিৎসার সুব্যবস্থা রয়েছে। যেমন, জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট থেকে শুরু করে অর্থোস্কোপিক সার্জারি, ট্রমা, অর্থোপ্লাস্টি-- সব কিছুই এখানে বিশেষ যত্নের সঙ্গে অভিজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে করা হয়।”
হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩৬৬৩৪৬৬৩৪
এই প্রতিবেদনটি ‘এইচ পি ঘোষ হাসপাতাল’—এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।