প্রতীকী চিত্র
প্রত্যেক মানুষেরই ওজন ও শরীরের ধাঁচ আলাদা। দু’জন মানুষের কোনও রকম শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াই তুলনা করা চলে না। বয়স, পেশি-মেদের অনুপাত, উচ্চতা বা লিঙ্গভেদে আলাদা হয়ে যায় প্রত্যেকের শরীরের ধারা। তাই আদর্শ ওজন হিসাব করা সহজ নয়।
বিএমআই বা বডি মাস ইন্ডেক্স হল একটি সাধারণ হিসাবের মাপকাঠি। কোনও ব্যক্তির ওজন আর উচ্চতা থেকে হিসাব করা হয় তাঁর বিএমআই। বিএমআই ঠিক থাকলেই শরীরে মধুমেহ, ওবেসিটি থেকে শুরু করে ওজনজনিত যে কোনও রোগ থেকে বাঁচা যায়।
বিএমআই নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি। তার জন্য কিছু পদক্ষেপ মেনে চলা উচিত-
· শরীরচর্চা ও হাঁটাচলা করুন-
ব্যস্ত দিনের রুটিনে হাঁটাচলা বা জিম করার সময় পাওয়া যায় না। কিন্তু ভাল বিএমআই বজায় রাখার জন্য শরীরচর্চা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আবার শরীরচর্চা মানেই যে একঘেয়ে কোনও কাজ, তা-ও নয়। খেলাধুলো বা নানা ধরনের আউটডোর কাজের মাধ্যমেও শরীরচর্চার সমান লাভ পেতে পারেন। ভাল লাগার কোনও কাজ বেছে নিলে আপনার শরীরের উপকারও হবে, আবার শরীরের মেদও ঝরবে।
· টুকটাক খাওয়া বাদ-
সারা দিন ধরে বিভিন্ন কাজের ফাঁকে খিদে পেলেই আমরা টুকটাক খেতে থাকি। তারপর হঠাৎই এক দিন দেখতে পেলেন, এক ধাক্কায় অনেকটা ওজন বেড়ে গিয়েছে। এই স্বভাবে বদল আনুন। খাওয়ার সময় নির্দিষ্ট করুন এবং নিয়ন্ত্রিত ভাবেই খাওয়া দাওয়া করুন। শুধু তা-ই নয়, মুখরোচক খাবারদাবার বাড়িতে রাখা বা কেনা বন্ধ করে দিন।
· উচ্চ ক্যালোরি সমৃদ্ধ পানীয়ে ‘না’-
শুধু খাবারই নয়, উচ্চ শর্করা বা ক্যালোরি রয়েছে, এমন কোনও পানীয়েও ‘না’ বলতে হবে যদি বিএমআই নিয়ন্ত্রণ করতে চান। নানা রকমের বাজারচলতি মিষ্টি পানীয় খেলেই প্রচণ্ড ওজন বাড়ার সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। তাই এ রকম পানীয়ের বদলে জল খান বেশি করে। এতে শুধু যে আপনার বিএমআই নিয়ন্ত্রণে থাকবে. তা নয়। হজমের প্রক্রিয়াও ভাল ভাবে হবে।
· স্বাস্থ্যকর খাবার খান-
স্বাস্থ্যকর খাবার বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিস্বাদ বা প্রায় স্বাদহীন তেল, নুন ছাড়া খাবার। আর তাই মুখরোচক খাবার ছেড়ে এই ধরনের খাবার খেতে ইচ্ছে করে না কারও। কিন্তু এখন ডিজিটাল যুগে খুব সহজেই হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন এমন অসংখ্য খাবারের রেসিপি, যা হবে সুস্বাদু অথচ স্বাস্থ্যকর। বানাতেও খাটনি হবে না তেমন। এ ছাড়াও বেশি করে ফল ও শাক-সবজি খান, ক্ষতিকর চর্বিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন। এতেই আপনি ভাল বিএমআই খুব সফল ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।