ফিটএক্সপো ইন্ডিয়া ২০২৩
৭ নভেম্বর ২০২৩, কলকাতা: ফিটএক্সপো ইন্ডিয়া ২০২৩, স্পোর্টএক্সপো-কে সঙ্গে নিয়ে আগামী ১ থেকে ৩ ডিসেম্বর বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণে (মিলন মেলা) দেশের বৃহত্তম ফিটনেস এবং সুস্বাস্থ্য সংক্রান্ত সামগ্রীরপ্রদর্শনী আয়োজনের কথা ঘোষণা করেছে।
তিন লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ৩ দিনের এই প্রদর্শনীতে দেড় লক্ষ মানুষ আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ফিটএক্সপো ইন্ডিয়া ২০২৩ একই সঙ্গে বিজনেস টু কনজিউমার (বি২সি) এবং বিজনেস টু বিজনেস (বি২বি) কর্মসূচি। দ্বিবার্ষিক এই সম্মেলনের চতুর্থ পর্ব প্রস্তাবিত এই কর্মসূচি।
“দ্য ফিটএক্সপো ইন্ডিয়ার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অধিকর্তা তথা ক্যালকাটা স্পোর্টস ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি গগন সচদেব বলেন, “এই কর্মসূচি শুধুমাত্র খেলাধুলো বা শরীরচর্চা সংক্রান্ত প্রদর্শনী নয়, এখানে থাকছে নেটওয়ার্কিং, নতুন পণ্যের উদ্বোধন থেকে শুরু করে লাইভ শো, ডেমনস্ট্রেশন এবং প্রতিযোগিতা সব মিলিয়ে যা রূপ নেবে এক সর্বাঙ্গীন উৎসবের, যা আগত সমস্ত অতিথিদের অভিজ্ঞতাকে এক অন্য স্তরে নিয়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই অনুষ্ঠানে যোগদানকারীরা বিপুল সংখ্যক দর্শকের সামনে নিজেদের পণ্য ও পরিষেবা সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরতে পারবেন। যা তাঁদের ব্র্যান্ডের পরিচিতি এবং গ্রাহকদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে সহায়তা করবে। শরীরচর্চায় উৎসাহীরা এখানে বডি বিল্ডিং, পাওয়ার লিফটিং, জুম্বা, পাওয়ার যোগা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের খোঁজখবর পাবেন। এখানে থাকবে আলোচনা সভা এবং একাধিক কর্মশালা যেখানে খেলাধুলো ও শরীরচর্চা সংক্রান্ত বিষয় কোর্স মেডিসিন এবং পুষ্টি সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা নিজেদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরবেন।”
প্রস্তাবিত ফিটএক্সপো ২০২৩-এ ৫ হাজারের বেশি বিশেষজ্ঞ এবং ক্রীড়াব্যক্তিত্ব যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে এখানে থাকছে সুপার বাইক জোন, শরীরচর্চার প্রতিযোগিতা, বন্ধ খাঁচায় মিক্সড মার্শাল আর্ট লড়াই এবং খাদ্য উৎসব।
সিএসডিএর সভাপতি তথা স্পোর্টএক্সপোর মুখ্য আহ্বায়ক রাজেশ ভাটিয়া বলেন, “চলতি বছরে খেলাধুলোর জগতের শিল্পের কথা মাথায় রেখে সমস্ত রকমের ক্রীড়া সামগ্রী পোশাক এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন ও প্রযুক্তির প্রসারের জন্য স্পোর্টএক্সপোতে এক বিশেষ মঞ্চ রাখা হচ্ছে। পূর্বাঞ্চলের ক্রীড়া জগতের বাজারের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সংস্থার কাছে কলকাতায় আয়োজিত এই বিপুল মাপের প্রদর্শনী এক বিরাট সুযোগ। আশা করি ব্যবসায়ী এবং উৎসাহীরা এই সুযোগকে পুরোপুরি কাজে লাগাবেন।”
স্পোর্টএক্সপোর যুগ্ম আহ্বায়ক সঞ্জয় শ্রীবাস্তব বলেন, “খেলাধুলার সামগ্রিক মানোন্নয়নের স্বার্থে আমরা রাজ্যের ক্রীড়া সংস্থা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলাধুলার ব্র্যান্ডগুলিকে সমন্বয় বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে একই মঞ্চে নিয়ে আসছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি সমস্ত ক্রীড়া সংস্থা এবং অংশগ্রহণকারী নির্মাতাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট হবে। ক্রিকেট, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, হকি, তিরন্দাজির জন্য এখানে আলাদা আলাদা জোন তৈরি করা হয়েছে যা, প্রচারের ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা নেবে।”
এই বিরাট প্রদর্শনীর অন্যান্য দুই দিক তুলে ধরে আইএফের চেয়ারম্যান তথা স্পোর্টএক্সপো-র চিফ প্যাট্রন সুব্রত দত্ত বলেন, “কাজের সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে ক্রীড়া জগতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই ধরনের কর্মসূচি যুব প্রজন্মকে খেলাধুলায় উৎসাহিত করবে এবং তাদের সঠিক পথের দিশা দেখাবে।”
কনফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের (সি ডব্লিউ বি টি এ) সভাপতি সুশীল পোদ্দার জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ শিল্প উন্নয়ন নিগম এবং সি ডব্লিউ বি টি এ-র যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সংস্থার মাধ্যমে ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট এবং খেলো ইন্ডিয়া কর্মসূচির সহযোগিতা মিলেছে।
এক্সপোর চেয়ারম্যান নরেন্দ্রনাথ কাপাডিয়া বলেন, “সুস্বাস্থ্য এবং ফিট থাকা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো, নতুন আবিষ্কার এবং বিনিয়োগ আকর্ষণের পাশাপাশি খেলাধুলা এবং শরীরচর্চাকে অর্থবহ করে তোলার মতো নানাবিধ লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।”
বি২বি কর্মসূচির জন্য এখানে একটি কর্পোরেট বিজনেস লাউঞ্জ তৈরি করা হচ্ছে। এ ছাড়াও আয়োজন করা হচ্ছে ফিটপিচ (থিম নির্ভর তহবিল সংগ্রহ এবং বাণিজ্যিক আদান প্রদান) কর্মসূচি, স্টার্টআপ সংস্থা এবং আবিষ্কর্তাদের জন্য বিশেষ মঞ্চ, পারস্পরিক সংযোগ এবং বিনিয়োগের উৎসাহ দেওয়ার নানা প্রকল্প, যার মাধ্যমে ফিটএক্সপো ইন্ডিয়া ২০২৩ অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি ছাপ রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
খেলাধুলা, শরীরচর্চা, ওয়েলনেস সংক্রান্ত বিভিন্ন শিল্প এবং সংস্থা কলকাতার বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়া ফিটএক্সপো ইন্ডিয়া ২০২৩-এর লাইভ ইভেন্টগুলিতে অংশ নিতে চলেছে । এই ধরনের যে কোনও আন্তর্জাতিক কর্মসূচির সঙ্গে মানের সাযুজ্য রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।
এই প্রতিবেদনটি ‘দ্য ফিটএক্সপো ইন্ডিয়া’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।