নীলাঞ্জন দে
সর্বভারতীয় মঞ্চে আরও এক বার সম্মানিত কলকাতার টেকনো ইন্টারন্যাশনাল। গবেষণা ক্ষেত্রে কৃতিত্বের জন্য এ বার পুরস্কার পেলেন এই কলেজের অধ্যাপক। চিকিৎসক নীলাঞ্জন দে-র ঝুলিতে এল 'মোস্ট আউটস্ট্যান্ডিং রিসার্চার'-এর শিরোপা।
কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মানচিত্রে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে নিউটাউনে অবস্থিত, টেকনো গোষ্ঠীর অন্তর্গত টেকনো ইন্টারন্যাশনাল। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক বিভিন্ন কোর্সে এখানে স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা হয়। প্রতিষ্ঠানের কৃতী ছাত্রছাত্রীদের অনেকে দেশ-বিদেশের নামী সংস্থায় কর্মরত, অনেকে আবার মন দিয়েছেন গবেষণার কাজে। এখানকার পঠনপাঠনেও ক্লাসরুম শিক্ষার পাশাপাশি প্রয়োগিক শিক্ষাদানে নজর দেওয়া হয়।
এই কলেজেরই তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট অধ্যাপক চিকিৎসক নীলাঞ্জন দে। কম্পিউটার সায়েন্সের পরিসরে অসামান্য কাজের জন্য তিনি পেলেন অনন্য সম্মান। হাতে উঠল ‘কেরিয়ারস ৩৬০ রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড’ (Careers 360 Research Award)। কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি পেয়েছেন 'মোস্ট আউটস্ট্যান্ডিং রিসার্চার'-এর খেতাব।
‘কেরিয়ারস ৩৬০ রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড’-এর এ বার দ্বিতীয় বছর। গত ৬ অক্টোবর নয়াদিল্লির তিন মূর্তি ভবনে, প্রাইম মিনিস্টারস মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি-র প্রেক্ষাগৃহে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। এ বছর ২৭টি বিষয়ে মোট ৮১ জন গবেষককে সম্মান জ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে নির্বাচিত অধ্যাপকদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন কেন্দ্রীয় দক্ষতা উন্নয়ন ও শিল্পোদ্যোগ এবং যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্ত দফতরের প্রতিমন্ত্রী রাজীর চন্দ্রশেখর। সঙ্গে ছিলেন এআইসিটিই (AICTE)-র চেয়ারম্যান টি জি সীতারাম। পুরস্কার হিসেবে স্মারক এবং নগদ অর্থ দেওয়া হয়। অসুস্থতার কারণে অধ্যাপক দে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাঁর হয়ে তাঁর স্ত্রী এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। অধ্যাপক দে এই সম্মান পাওয়ায় টেকনো ইন্টারন্যাশনাল গর্বিত। সম্মানিত তাঁর সহকর্মীরা। প্রিয় অধ্যাপকের পুরস্কার প্রাপ্তিতে খুশি তাঁর ছাত্রছাত্রীরাও।
এই প্রতিবেদনটি 'টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউন'এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।