বাস্তুতে চন্দ্রের দিক হল, উত্তর-পশ্চিম
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, গ্রহ-তারা-বাস্তু-উর্জা প্রভৃতির নিগূঢ় প্রভাব রয়েছে আমাদের জীবনে। যখন কোনও জাতক বা জাতিকার জন্মকুণ্ডলীতে কোনও গ্রহ-তারা দুর্বল থাকে বা বাস্তুর দৈবস্থলগুলি নেতিবাচক উর্জা যুক্ত হয়, তখন তার বিরূপ প্রভাব সেই জাতক বা জাতিকার জীবনে দেখা যায়। ইতিপূর্বে বিভিন্ন প্রবন্ধে সে বিষয়ে আমি আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি। যেমন এর আগের পর্বগুলিতে আমি আলোচনা করেছি, রাহু-কেতু-শনি-বৃহস্পতি-বুধ এবং শুক্র গ্রহ বিষয়ে। আজকের পর্বে আলোচ্য চন্দ্র।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, চন্দ্র মানে মা, আমাদের অভ্যন্তরীণ অনুভূতি, মন-মানসিকতা-মেজাজ, গভীরতম প্রবৃত্তি, অভিপ্রায়। চন্দ্র সরাসরি আমাদের মনের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই কোনও ব্যক্তির জন্মছকে চন্দ্র দুর্বল বা পীড়িত থাকলে... জাতক বা জাতিকার আত্মবিশ্বাস খানিকটা নড়িয়ে দেয়, সেই ব্যক্তির স্বভাব দুর্বল করে দেয় অশুভ চন্দ্র। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দ্রুত আবেগপ্রবণ হয়ে যান, ছোটখাটো বিষয়ে মন খারাপ হতে থাকে। ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়াও দুর্বল অবস্থানে থাকা চন্দ্রের লক্ষণ। জন্মছকে চন্দ্রের অবস্থান শুভ না অশুভ? কী তার লক্ষণ? এ বিষয়ে বিভিন্ন সূত্র আলোচনা করবো, তার আগে জানিয়ে রাখি শুধুমাত্র মন-মানসিকতাই নয়, একাদশ শ্রেণী থেকে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত হয় জন্মছকে চন্দ্রের অবস্থান দ্বারা। যদিও এর পাশাপাশি রাশিচক্রের চতুর্থ ঘরের অধিপতির ভূমিকাও বিচার্য, চতুর্থ ঘরের অধিপতিও কোনও কারণে দুর্বল হলে, জাতক-জাতিকার মাতৃস্থান বা একাদশ থেকে স্নাতকস্তরের পড়াশোনার উপর বিরূপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
বাস্তুতে চন্দ্রের দিক হল, উত্তর-পশ্চিম। এছাড়াও বাস্তুর উত্তর দিকও চন্দ্রের দ্বারা খানিকটা নিয়ন্ত্রিত। বাড়ির উত্তর-পশ্চিম বা উত্তর অংশে টয়লেট, নিকাশি ব্যবস্থা কোনও দূষণ... বা রান্নাঘর থাকলে সেই বাস্তুতে চন্দ্র নেতিবাচক প্রভাব দিতে শুরু করে। পাশাপাশি, উত্তর-পশ্চিম দিকে সবুজ রং থাকলে...সেই বাস্তুতে বসবাসকারী ব্যক্তির জীবনে চন্দ্রের অশুভত্বের প্রভাব আসতে থাকে। উত্তর দিকে লাল, কমলা, গোলাপী বা বেগুনি রঙের উপস্থিতি, রান্নাঘর, ইলেকট্রিক দ্রব্য, মিটারবক্স, ইনভার্টার ইত্যাদি থাকলেও চন্দ্র দুর্বল হয়ে পড়ে। কেউ যদি ঘনঘন সর্দি-কাশিতে ভোগেন...ঠাণ্ডা লাগার ধাত থাকে ধরে নিতে হবে সেই ব্যক্তির জন্মছকে চন্দ্র দুর্বল।
কীভাবে বুঝবেন জন্মছকে চন্দ্র অত্যন্ত শুভ এবং শক্তিশালী? লক্ষণগুলি মিলিয়ে নিন...
কোনও ব্যক্তির জন্মছকে চন্দ্র শুভ হলে তিনি...
১) যত্নবান
২) অনুপ্রাণিত করার শক্তি রাখেন
৩) মানসিক বিষয়ে পরিণত
৪) মানসিক দৃঢ়তা যুক্ত
৫) নিজের কাজের প্রতি যত্নবান এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন (এক্ষেত্রে জন্মছকে মঙ্গলকেও দেখতে হয়)
৬) দায়িত্বশীল
৭) কোনও কু-বাক্য প্রয়োগ ব্যতিরেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিরাপদে, নিশ্চিন্ত-আরামে থাকতে পারেন
৮) নিজের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সর্বোত্তম বোঝাপড়া, দুর্দান্ত তালমেল রাখেন
৯) নিজের প্রয়োজন অনুসারে নিজেকে পরিবর্তন করার বা মানিয়ে নেওয়ার আশ্চর্য ক্ষমতা রাখেন
১০) দারুণ স্মৃতিশক্তি যুক্ত হন
১১) সহমর্মিতা যুক্ত হন
১২) ধৈর্যশীলতা থাকে
১৩) মনে পূর্বের কোনও দুঃখ ধরে রাখেন না
১৪) নিজের পরিবারে বা কাজের জায়গায় অত্যন্ত কৌশলযুক্ত কথার মাধ্যমে পরিস্থিতি আয়ত্তে বা নিয়ন্ত্রণে রাখেন
১৫) কোমল ব্যবহার যুক্ত হন কিন্তু খুব সতর্ক থাকেন যাতে কেউ কোনরূপ ক্ষতি করতে না পারে
জন্মছকের দ্বিতীয়, চতুর্থ এবং নবম ঘরে চন্দ্র যদি একা কোনও শুভ নক্ষত্রে অবস্থান করে, সে ক্ষেত্রে সেই জাতক/জাতিকার জীবনে চন্দ্রের শুভ প্রভাব লক্ষ করা যায়। চন্দ্র সংক্রান্ত অন্যান্য জ্যোতিষীয় তথ্য ও সূত্র বিষয়ে আগামী পর্ব আলোচনা করবো।
Guided Symbol Meditation এবং বাস্তু বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable)।
ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।