'চাঁদের বিশালতা মানুষের মাঝেও আছে, চাঁদ এক জীবনে বারবার ফিরে আসে। ঠিক তেমন মানুষ প্রিয় বা অপ্রিয় যাই হোক, একবার চলে গেলে আবার ফিরে আসে।' --- হুমায়ূন আহমেদ
কবি বলেছেন, চাঁদের বিশালতা মানুষের মাঝেও আছে, আর জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, আমাদের মন এবং হৃদয়কে নিয়ন্ত্রণ করে চন্দ্র। কোনও ব্যক্তির জন্মছকে চন্দ্র পীড়িত থাকলে, অনিদ্রা, নার্ভাসনেস এবং অবসাদ তাঁকে গ্রাস করে। নিজের বুদ্ধিমত্তার উপর সন্দিহান হয়ে পড়েন সেই ব্যক্তি। আবার চন্দ্রের পাশাপাশি রাহুও কোনও ব্যক্তির জন্মছকে পীড়িত থাকলে, শ্বাসকষ্ট, উদ্বেগজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষত মধ্যবয়সে, নির্দিষ্ট করে বললে ৪২-৪৭ বছর বয়স পর্যন্ত আমাদের নানান ধরণের বাধা-বিপত্তি-সমস্যা-বিচ্ছেদ-ধাক্কার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, যদি জন্মছকে চন্দ্র পীড়িত থাকে। একটি কেস স্টাডির মাধ্যমে আজ আপনাদের জানাবো, জন্মছকের পীড়িত চন্দ্র কিভাবে সাজানো জীবনে অশান্তির ঝড় তোলে। তার আগে জানিয়ে রাখি আমাদের বাস্তুতে কোনও শীতল (ঠাণ্ডা) জায়গা, জল, রূপো ইত্যাদি চন্দ্রকে নির্দেশ করে। যেমন, খুব ভারি কোনও বস্তু, পুরনো-অ্যান্টিক জিনিস, স্টোরেজ, ফ্রিজ শনিকে নির্দেশ করে। আবার, রাহু-কেতু নির্দেশ করে, নোংরা আবর্জনা, ডাস্টবিন, নিকাশি ইত্যাদি। বাস্তুতে চন্দ্রের দিক উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিককে নিয়ন্ত্রণ করে রাহু। একজন ব্যক্তি, তাঁর পরিবারের সদস্য বা সমাজের কাছ থেকে কতটা সাহায্য পাবেন তা জানা যায় বাস্তুর উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে। অন্যদিকে বিবাহ জীবনের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বাস্তুর দক্ষিণ-পশ্চিম দিক। পারস্পরিক সম্পর্কে বোঝাপড়ার অভাব, দূরত্ব, তিক্ততা অনুভূত হলে আমি সবসময় বাস্তুর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশটি লক্ষ্য করি।
দাম্পত্য কলহ-বাস্তু এবং কেস স্টাডি
সফল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার রমেশবাবু প্রায় ১০ বছর ধরে আমার সঙ্গে যুক্ত। আমার পরামর্শ মেনে তিনি কেরিয়ারে প্রভূত উন্নতি করেছিলেন। স্ত্রী সোনালি দেবী এবং একমাত্র সন্তানকে নিয়ে নির্ঝঞ্ঝাট জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু নতুন ফ্ল্যাট কেনার পরেই বিপত্তি, বসবাস শুরু করার ৭ মাস পর থেকেই সমস্যা শুরু হল। রমেশবাবুর অদ্ভুৎ খিটখিটে ব্যবহার, কথায়-কথায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি। সন্তানের সামনেও নিয়মিত চলতে থাকল দাম্পত্য কলহ। সোনালি দেবী অনুভব করলেন, রমেশবাবু ক্রমশ তাঁর প্রতি আকর্ষণ হারাচ্ছেন। তৃতীয় কোনও ব্যক্তির অনুপ্রবেশ না ঘটলেও, দাম্পত্যের স্বাভাবিক সুরটি নষ্ট হয়েছে। স্বামীর উপর হতাশা থেকে মেয়েকেও মাঝেমধ্যে অতিরিক্ত শাসন করে ফেলতেন সোনালি দেবী। বাবা-মায়ের এই নিত্য অশান্তির প্রভাব পড়তে শুরু করল সন্তানের পড়াশোনায়। এবার সোনালি দেবীর টনক নড়ল। সমস্যার গুরুত্ব উপলব্ধি করে তিনি আমার দ্বারস্থ হলেন। Online Consultation-এর মাধ্যমে আমার কাছে জানতে চাইলেন, কেন তাঁর শান্ত জীবনে এই ঝড় উঠল। সোনালি দেবীর জন্মবৃন্তান্ত বিশ্লেষণ করে গুরুতর কোনও সমস্যা আমি পেলাম না। এবার সোনালি দেবী আমাকে অনুরোধ করলেন, আমি যেন তাঁর নতুন কেনা ফ্ল্যাটের বাস্তু ভিজিট করি। তিনি পারিবারিক অশান্তি থেকে মুক্তি, আর্থিক উন্নতি এবং তাঁর জন্মছক অনুসারে নতুন কোনও ব্যবসা শুরু করতে চাইছিলেন।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার প্রায় ১ মাস পর আমি সোনালি দেবীর বাস্তু ভিজিট করতে গেলাম। পাশাপাশি রমেশবাবুর জন্মবৃন্তান্ত বিশ্লেষণ করে দেখলাম, তাঁর রাশি বৃশ্চিক, নক্ষত্র জ্যেষ্ঠ্যা, জন্মছকে রবি, চন্দ্রের নক্ষত্রে বসে রয়েছে এবং সেই সময় তাঁর রবির দশা চলছিল। এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, রমেশবাবুর জন্মনক্ষত্র 'জ্যেষ্ঠ্যা'- জ্যোতিষশাস্ত্র মতে গণ্ডমূল নক্ষত্র। গণ্ডমূল নক্ষত্রকে অত্যন্ত অশুভ বলে মনে করা হয় (পরবর্তী সংকলনে গণ্ডমূল নক্ষত্র সম্পর্কে আপনাদের জানাবো)। যে সময় আমি রমেশবাবুর বাড়িতে বাস্তু ভিজিটে যাই, তখন তাঁর বয়স ৪২। আগেই আপনাদের জানিয়েছি, জন্মছকে চন্দ্র পীড়িত হলে ৪২-৪৭ বছর বয়স পর্যন্ত আমাদের নানান ধরণের বাধা-বিপত্তি-সমস্যা-বিচ্ছেদ-ধাক্কার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। খারাপ দশা এই প্রবণতা আরও বাড়িয়ে দেয়। রমেশবাবু সোনালি দেবীর সমস্যার প্রধাণ কারণ ছিল এটাই। একইসঙ্গে আমি লক্ষ্য করলাম, ওই দম্পতির ফ্ল্যাটের উত্তর-পশ্চিমে টয়লেট (রাহু/কেতু) এবং দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে ভারি কাবার্ড, বড় আলমারি, জামাকাপড় ভর্তি পুরনো ট্রাঙ্ক এবং তামার শিবমূর্তি (শনি) রাখা। বাস্তুতে চন্দ্রের উপর রাহু-কেতুর নেতিবাচক প্রভাব এবং দক্ষিণ-পশ্চিম কোণায় নকারাত্মক শনির প্রভাব, এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।
বাস্তুর সংস্কারের জন্য ওই ফ্ল্যাটের উত্তর-পশ্চিমে আমি গ্যালভ্যানাইজড মেটালিক থিওরি প্রয়োগ করলাম এবং স্বামী-স্ত্রী-সন্তানের পক্ষে শুভ বিবেচনা করে বাড়ির দক্ষিণ দিকে ১৭৮°-র কাছাকাছি আলমারি, কাবার্ড প্রভৃতি ভারি বস্তুগুলিকে স্থানান্তরিত করলাম। পীড়িত চন্দ্রের প্রতিকারের জন্য আমি নির্দিষ্ট কিছু হার্বস, তিন বাস্তু দেবতা বরুণ, অপবৎস এবং পার্জন্যে প্রয়োগ করলাম। পাশাপাশি, রমেশবাবু এবং সোনালি দেবীকে Symbol Meditation সহ একটি বিশেষ মুদ্রা অভ্যাস করতে বললাম, যেখানে উভয় হাতের মধ্যমা এবং অনামিকাকে ভাঁজ করে হাতের তালু স্পর্শ করতে হয় (ছবি)।
টানা ২২ দিন অভ্যাস করার পরেই সোনালি দেবী আমাকে জানালেন তাঁরা শুভ প্রভাব পেতে শুরু করেছেন। ৯০ দিনের মধ্যে দাম্পত্যের স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে এল এবং বাস্তু ভিজিটের ৮ মাসের মধ্যেই রমেশবাবুর পদোন্নতিতে একধাক্কায় তাঁর মাইনে অনেকটাই বেড়ে যায়। ইতিমধ্যেই আমার পরামর্শ মেনে সোনালি দেবীও হার্বাল প্রোডাক্টের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তাঁর ব্যবসাও ধীরে ধীরে লাভের মুখ দেখে। নির্দিষ্ট সময়ে সোনালি দেবী আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানালেন, তিনি তাঁর সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন, আর্থিক উন্নতি হয়েছে, নতুন ব্যবসা ভালো চলছে। সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট হয়ে তিনি গ্যারান্টি কার্ড জমা করলেন (বাস্তু ভিজিটের ক্ষেত্রে আমি লিখিত গ্যারান্টি কার্ড প্রদান করি)।
দীর্ঘ ২৩ বছরের পেশাদার জীবনে রমেশবাবু এবং সোনালি দেবীর মতো অসংখ্য সফল কেস স্টাডি আমার কাছে রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। তবে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও সমরাঙ্গন সূত্রধর, বিশ্বকর্মাপ্রকাশ ইত্যাদি গ্রন্থে লিখিত বাস্তুশাস্ত্রের প্রতিটি তত্ত্বের নিখুঁত-অব্যর্থ সত্যতা আমাকে অবাক করে। আমি নিশ্চিত, এর সত্যতা উপলব্ধি করলে আপনাদেরও বিস্ময়ের শেষ থাকবে না।
Guided Symbol Meditation এবং বাস্তু বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable)
ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।