বইমেলার দীর্ঘ ৪৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার সেই বছরই মেলার সমস্ত অনুষ্ঠানের লাইভ সম্প্রচার করা হয়
কোভিড অতিমারির শঙ্কা কাটিয়ে গত বছর ধুমধাম করে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। বইমেলার ইতিহাসের সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে সেবছর প্রায় ২৩ কোটি টাকার বই বিক্রি করেছিলেন বই প্রকাশনাগুলি।
২০২২ এ প্রথম বারের মতো বইমেলার এই যাত্রার সঙ্গী হয়েছিল সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি। সেই বছর বইমেলার প্রচারে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই বিশ্ববিদ্যালয়। নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করার ভাবনাকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে রাজ্য তথা দেশের উচ্চশিক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছে এসএনইউ তথা সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি।
মূলত এসএনইউ-এর সাহায্যেই ডিজিটাল দুনিয়ায় সম্প্রচার নিজের উপস্থিতি জোরালো করেছে কলকাতা বইমেলা। গত বছরই কলকাতা বইমেলার নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি হয় এসএনইউ-এর হাতে। বইমেলার দীর্ঘ ৪৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার সেই বছরই মেলার সমস্ত অনুষ্ঠানের লাইভ সম্প্রচার করা হয়। এমনকি বইমেলার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পেজকে আরো বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছে এসএনইউ।
বইমেলার এই সম্প্রচারে সব কিছুই নিজের হাতে করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থীরা
শুধুমাত্র তাই নয়, মেলা প্রাঙ্গণে সাময়িকভাবে নিজস্ব প্রোডাকশন কন্ট্রোল রুম তৈরি করে লাইভ সম্প্রচার করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। বইমেলায় আগত পাঠকদের সঙ্গে কথা বলা থেকে শুরু করে বইমেলা নিয়ে বিভিন্ন প্রকাশক, বিখ্যাত সাহিত্যিক, সেলিব্রিটিদের সাক্ষাৎকারও দেখেছেন মানুষ দেখেছেন বইমেলার ডিজিটাল দুনিয়ায়। এমনকি ড্রোন শটের মাধ্যমে গোটা বইমেলার পরিদর্শন করিয়েছে এসএনইউ।
এত কিছুর ওপরেও সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয় হল বইমেলার এই সম্প্রচারে সব কিছুই নিজের হাতে করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম বিভাগের পড়ুয়ারা। এই বিভাগের প্রধান অধ্যাপিকা মিনাল পারেখ এবং অন্যান্য অধ্যাপক, অধ্যাপিকাদের তত্ত্বাবধানে এই কাজে অংশ নেয় উৎসাহী পড়ুয়ারা। শেখার ইচ্ছা ও কাজের প্রতি গভীর ইচ্ছা নিয়ে ২০২২ এর বইমেলাকে সাফল্যে পরিণত করতে অন্যতম ভূমিকা পালন করে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির পড়ুয়ারা। প্রায় ২.১ মিলিয়ন বইপ্রেমীদের আগমন ঘটে গত বছর আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা প্রাঙ্গণে।
মদন মিত্রের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন এক শিক্ষার্থী
প্রতিবছরের মতো এবছরও ৪৬তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা নিয়ে হাজির হচ্ছে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলারস্ গিল্ড। আগামী ৩১শে জানুয়ারি থেকে ১২ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে চলবে এই মেলা। এবছরও কলকাতা বইমেলার ডিজিটাল পার্টনার হিসেবে থাকছে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি। বইমেলাকে এই বছর আরো বেশি মানুষের কাছে ডিজিটালি পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই আয়োজন শুরু করে দিয়েছে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি।
এই প্রতিবেদনটি ‘এস এন ইউ’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।