Dr. Santosh Kumar

আন্তর্জাতিক স্তরের হিপ প্রতিস্থাপন এখন সম্ভব হচ্ছে কলকাতাতেও, নেপথ্যে চিকিৎসক সন্তোষ কুমার

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৩৯
Share:

বলা হয়, শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে কোমর। দৈনন্দিন জীবনে কাজের জন্য যে পরিমাণ ধকল আমাদের শরীরে পড়ে, তার অনেকটাই সামলে দেয় কোমর। বিভিন্ন আঘাতজনিত কারণ, অতিরিক্ত ওজন বহন, দুর্ঘটনা, অস্থিসন্ধি ক্ষয়ে যাওয়া, বয়স বেড়ে যাওয়া, ইত্যাদি কারণে কোমরে এবং হিপে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতি জটিল হতে থাকে। অবস্থা বুঝে, কৃত্রিম হিপ প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। চলতি ভাষায় যাকে বলে হিপ রিপ্লেসমেন্ট।

হিপ রিপ্লেসমেন্ট সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই আলোচনায় স্বনামধন্য অর্থোপেডিক সার্জন চিকিৎসক সন্তোষ কুমার।

আলোচনায় চিকিৎসক সন্তোষ কুমার

সাধারণত, কোমরে চোট, আর্থারাইটিসের সমস্যা, হাড়ে ক্ষয়, হাড়ের টিউমার, অস্থিতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো বিভিন্ন জটিল পরিস্থিতিতে হিপ রিপ্লেসমেন্ট করা হয়। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পদ্ধতির প্রভূত উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসক সন্তোষ কুমার জানাচ্ছেন, “আগে ষাটোর্ধ্ব রোগীদের এই ধরনের অস্ত্রোপচার বেশি করা হলেও, বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উন্নত ও দীর্ঘমেয়াদি কৃত্রিম অস্থিসন্ধি ব্যবহার করে অপেক্ষাকৃত কম বয়সের রোগীদেরও কোমর ও হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।”

পরিবর্তন এসেছে চিকিসাপদ্ধতিও। চিকিৎসক জানাচ্ছেন, “বর্তমানে এই ধরনের অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে রোবটের সাহায্য নেওয়া হয়। এই রোবটের সাহায্যে রোগীকে ভাল করে পরীক্ষা করে সঠিক পদ্ধতি, আরও দ্রুত অস্ত্রোপচার সম্ভব হচ্ছে। অস্ত্রোপচারের পর খুব বেশি হলে এক থেকে দু’দিন রোগীকে হাসপাতালে থাকতে হয়। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট রোগী হাঁটাচলা, ব্যায়াম, সিঁড়ি ভাঙাসহ সব ধরনের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারেন। এতে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না। বরং অস্ত্রোপচারের পরে সংশ্লিষ্ট রোগী ২০-৩৫ বছর পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন”

শুধু পদ্ধতিতেই নয়, বদল এসেছে ইমপ্ল্যান্টেও। এ কথা নিজেও মেনে নিলেন চিকিৎসক সন্তোষ কুমার। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আগে টাইটেনিয়ামের মতো ধাতু ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে সেরামিক ইমপ্ল্যান্টের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়াও শরীরের খুব সামান্য অংশ কেটেই এই অস্ত্রোপচার সম্ভব হচ্ছে। এতে যেমন রোগীর শরীর থেকে রক্তক্ষরণের পরিমাণ কমে গিয়েছে, তেমনই খরচ কমেছে, হাসপাতালে থাকার সময়সীমাও কমে গিয়েছে।”

আন্তর্জাতিক মানের এই চিকিৎসা পরিষেবা বর্তমানে সম্ভব হচ্ছে কলকাতাতেও। বলা বাহুল্য, বিগত কয়েক বছরে কলকাতায় জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারির ছবিটাকে কার্যত বদলে দিয়েছেন চিকিৎসক সন্তোষ কুমার। তাঁর হাত ধরেই শহর ও শহরতলির বহু রোগী ব্যথা কাটিয়ে সাধারণ দৈনন্দিন জীবনযাপনে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছেন।

ঠিকানা: মুমেন্টাম অর্থোকেয়ার, প্লট ৩৩২, লেক টাউন রোড, ব্লক এ,কলকাতা - ৭০০০৮৯

ফোন নম্বর: ৯৮৩১৯১১৫৮৪ / ৬২৮৯৯৬২২৭১

এই প্রতিবেদনটি ‘চিকিৎসক সন্তোষ কুমার’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন