চিকিৎসক আশিস মিত্র
অনিয়মিত জীবনযাপন, স্থূলতা এবং অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়ার ফলে এখন অনেকেই ডায়াবেটিসের মতো সমস্যায় ভুগছেন। আর এই ডায়াবেটিস থেকে বাড়ছে নানাবিধ রোগব্যাধি। কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এখন অনেকেই এই ডায়াবেটিস সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন হয়েছেন। তবে জীবনধারা নিয়ন্ত্রণে আনলে ডায়াবেটিসের মতো রোগও নিরাময় করা সম্ভব। কিন্তু যাঁদের ছ’বছর পরেও ওষুধের দ্বারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে শারীরিক কোন কোন প্রভাব লক্ষণীয়?
এই সম্পর্কে সবিস্তার আলোচনায় ‘ওবেসিটি ডায়াবেটিস মেটাবলিজম ক্লিনিক'-এর মেডিসিন এবং ডায়াবেটিস কনসালট্যান্ট চিকিৎসক আশিস মিত্র আমাদের বিশদে ধারণা দিয়েছেন। এর আগেও তিনি ডায়াবেটিসের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
চিকিৎসক আশিস মিত্রের কথায়, “ডায়াবেটিসের কারণে মূলত আমাদের চারটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বেশি ক্ষতি হয়। এর মধ্যে রয়েছে হার্ট, চোখ, কিডনি এবং নার্ভ। এই চারটি অঙ্গ ঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্যে প্রয়োজন ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। অনেকে মনে করেন, বাড়িতেই খালি পেটে এবং খাওয়ার দু’ঘণ্টা পরে সুগার পরীক্ষা করলে সেই সুগার রিপোর্ট যদি ঠিক থাকে তা হলে সুগার নিয়ন্ত্রণে আছে, কিন্তু এ ধারণা একেবারেই ভুল।” তা হলে কী করণীয়?
চিকিৎসক মিত্রের মতে, বাড়িতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অন্তত ৭ বার সুগার পরীক্ষা করা দরকার। এবং প্রতি তিন মাসে এইচবিএওয়ানসি পরীক্ষা করতে হবে। এবং এই এইচবিএওয়ানসি’র মাত্রা ৭-এর নীচে রাখতে হবে। রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পাশাপাশি ভাল কোলেস্টেরলকে বৃদ্ধি করার চেষ্টা করতে হবে। এ ছাড়াও নিয়মিত হাঁটতে হবে এবং ধূমপান বন্ধ করতে হবে। বছরে অন্তত এক বার ইসিজি, রেটিনা পরীক্ষা করতে হবে। এর সঙ্গেই খেয়াল রাখতে হবে যে কিডনির কোনও ক্ষতি হচ্ছে কি না।
এই বিষয়গুলির পাশাপাশি চিকিৎসক আশিস মিত্র বলেন, “যাঁরা বহু দিন ধরে একই ধরনের ডায়াবেটিসের ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু উন্নত ধরনের ডায়াবেটিসের ওষুধ খেতে পারেন।”
ঠিকানা: ৩২/১এ, ঢাকুরিয়া, কে.পি. রায় লেন, শহিদ নগর, গড়ফা, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ ৭০০০৩১
বিশদে জানতে ফোন করুন: ৯৮৩০০৫৩১৯৩
বিশদে জানতে ক্লিক করুম পাশের লিঙ্কে: https://odmdoctorclinic.com/
এই প্রতিবেদনটি ‘ওবেসিটি ডায়াবেটিস মেটাবলিজম ক্লিনিক’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।