প্রতীকী ছবি
ফুসফুস মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও বাতাসে ভাসমান বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া এবং ধূলিকণার আক্রমণে তা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কারণ, নাক দিয়ে অক্সিজেন নেওয়ার সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে যাবতীয় অশুদ্ধি সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছে যায়। তার পরে তা রক্তের সঙ্গে মিশে সেখান থেকেই নানা সংক্রমণ, যেমন অ্যাজ়মা, ‘সিওপিডি’র মতো যাবতীয় রোগের সূত্রপাত হয়। ফুসফুসের প্রধান কাজ হল বাতাস থেকে অক্সিজেনকে রক্তপ্রবাহে মিশিয়ে দেওয়া এবং রক্তপ্রবাহ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইডকে বাতাসে নিষ্কাশন করা। তাই ফুসফুস ভাল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু ফুসফুসকে ভাল রাখবেন কী ভাবে? এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ‘এইচপি ঘোষ হাসপাতাল’-এর কনসাল্ট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট, চিকিৎসক ঋতম চক্রবর্তী বলেন, “জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে ফুসফুস ভাল রাখা সম্ভব। প্রথমত, ধূমপান বন্ধ রাখা এবং বাড়ির ভিতরের বায়ু দূষণ কম করা। এ ছাড়াও প্রাথমিক পর্যায়ে ফুসফুসের রোগের উপসর্গ শনাক্ত করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।”
চিকিৎসক চক্রবর্তী আরও বলেছেন, “কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, কাশির সঙ্গে অযাচিত কফ কিংবা রক্ত পড়ার মতো উপসর্গ থাকলে অবশ্যই পালমোনোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে। ফুসফুসে মূলত দু’ধরনের অসুখ দেখা যায়, ইনফেকটিভ এবং নন ইনফেকটিভ। ইনফেকটিভ ডিজ়িজ়ের মধ্যে রয়েছে টিবি, নিউমোনিয়ার মতো রোগ এবং নন ইনফেকটিভ ডিজ়িজ়ের তালিকায় অ্যাজ়মা, সিওপিডি, ‘ইন্টারস্টিশিয়াল লাং ডিজ়িজ়’—এই ধরনের রোগগুলি দেখা যায়।”
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করা হলে এই সব রোগই নিরাময়যোগ্য। তাই ফুসফুসকে যত্নে রাখুন এবং সময় মতো ভ্যাকসিনেশন করান।
হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩৬৬৩৪৬৬৩৪
এই প্রতিবেদনটি ‘এইচপি ঘোষ হাসপাতাল’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।