Chaitali Das

ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের অধিকারী প্রাক্তন মিসেস ইন্টারন্যাশনাল, জুট শিল্পের রানি চৈতালী দাস

রুখে দাঁড়ানো কাকে বলে দেখিয়ে দিয়েছেন চৈতালী। এই কঠিন পরিস্থিতিও তাঁকে দমাতে পারেনি। ক্যানসারের মতো রোগ যখন তাঁর জীবনে অন্ধকারের ছায়া ফেলেছিল, তখন মনের জোরই তাঁর শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪ ১১:৪২
Share:

চৈতালী দাস

চৈতালীর জীবন ছিল দুরন্ত ঘূর্ণির মতো। তার সবটুকু জুড়ে দেশ-বিদেশে ছুটে বেড়ানো, নিজের সেরাটা দেওয়ার সাধনা এবং পরিবারের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্যে অটল থাকা। সমাজকল্যাণে নিরলস, সহানুভূতিশীল পরোপকারী সামাজিক উদ্যোক্তা চৈতালী কর্মক্ষেত্র এবং পরিবারের দায়িত্ব সমানতালে বজায় রেখে চলছিলেন। এমনকি তাঁর স্বামী যখন কিডনি বিকল হওয়ার প্রায় শেষ পর্যায়ে, তখনও চৈতালী অন্ধকারে আলোকশিখার মতো হয়ে ওঠেন তাঁর জীবনে।

সেই পরিস্থিতিতে বজ্রপাতের মতো অতর্কিতে হানা দিল ক্যানসার। নিষ্ঠুরতম আক্রমণকারীর মতোই এক লহমায় ছিনিয়ে নিল চৈতালীর জীবনের যা কিছু প্রিয়। জীবনে আর কোনওদিন কোনও স্বপ্নপূরণ করতে পারবেন বলে মনেই করেননি তিনি।

তবে রুখে দাঁড়ানো কাকে বলে দেখিয়ে দিয়েছেন চৈতালী। এই কঠিন পরিস্থিতিও তাঁকে দমাতে পারেনি। ক্যানসারের মতো রোগ যখন তাঁর জীবনে অন্ধকারের ছায়া ফেলেছিল, তখন মনের জোরই তাঁর শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। চৈতালী বলেছিলেন, “আমি আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রার্থনায় বিশ্বাস করি। আমি ক্যানসার রোগের শিকার হিসেবে নয়, দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে এক জন যোদ্ধা হিসেবে আবির্ভূত হতে চাই।’’

“ইতিবাচকতা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করা, পাশাপাশি যোগ, প্রাণায়ম, আমার বাবার অনুপ্রেরণা, প্রিয়জনদের হাসি, যত্ন এবং উদ্বেগ আমাকে প্রতিটি মুহূর্তে অস্তিত্বের উদযাপন করতে শিখিয়েছে।’’

চৈতালী আরও জানিয়েছেন যে, ক্যানসারের রোগী হিসেবে বাস্তবকে নতুন করে চিনতে শিখেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “চুল পড়ে যাওয়ার পরে মাথা ঢাকতে বিভিন্ন ধরনের আবরণ ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি ছিল খুব খারাপ। সেই সময়ে আমি আমার চিকিৎসক পি এন মহাপাত্রর সহায়তা নিয়েছিলাম।’’

চৈতালীর এই কঠিন সময়ে তাঁর বন্ধুরা এবং পরিবার পাশে থেকেছেন স্তম্ভের মতো। হয়ে উঠেছেন তাঁর শক্তির উৎস। প্রতি মুহূর্তে সকলের এই সমর্থন চৈতালীকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সহায়তা করেছে।

এমন গুরুতর চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা

চৈতালী বলেছেন, “আমি কাজে ডুবে গিয়েছি পুরোপুরি। আপাতত আমার আগামী কফি টেবিল বুক 'পাটরানী' এবং হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালের সহযোগিতায় গ্রামের মহিলাদের দক্ষতার প্রশিক্ষণ প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত। গঙ্গাসাগর তীর্থযাত্রায় পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনা, আমার এই পরিস্থিতির জন্য কিছুই থামেনি।’’

চৈতালীর কথায়, “এই সব চ্যালেঞ্জ এখনও আমার কাছে বৈচিত্র্যময়। প্রতিটি বাধা আমাকে নতুন আকার দিয়েছে। আমার এই সফর শুধু ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই নয়, বরং একটি বিবর্তন, এক জন যোদ্ধার গড়ে ওঠা।’’

ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের উদ্দেশ্যে চৈতালীর বার্তা, “দৃঢ় প্রত্যয়, অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং ইতিবাচকতার সঙ্গে এই কঠিন চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করুন।’’

এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন