প্রতীকী ছবি
চিকিৎসা বিজ্ঞান উন্নত হওয়া সত্ত্বেও এখনও আমাদের দেশে মেয়েদের মৃত্যুর একটা বড় কারণ প্রসবকালীন জটিলতা। গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে সব কিছু স্বাভাবিক থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে প্রসবকালীন জটিলতা দেখা যায়। যা বেশ কিছু ক্ষেত্রে মা ও শিশুর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই যন্ত্রণা এড়াতে ‘সিজ়ারিয়ান ডেলিভারি’র প্রবণতা বাড়ছে। পাশাপাশি ‘নরমাল ডেলিভারি’র চাহিদা কমছে।
কিন্তু ধারণা বদলেছে, রোজ বদলাচ্ছে চিকিৎসার ধরনও। এখন নরমাল ডেলিভারির ক্ষেত্রেও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োগে প্রায় ৬০ শতাংশ যন্ত্রণা নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এইচ পি ঘোষ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট গাইনোকোলজিস্ট এবং অবস্ট্রেটিশিয়ান চিকিৎসক অরুন্ধতী চক্রবর্তী বলেন, “প্রকৃতিগত ভাবে, অর্থাৎ ভ্যাজ়াইনা বা যোনিপথ দিয়ে যে প্রসব হয়, তাকেই আমরা ‘নরমাল ডেলিভারি’ বলি। তবে ‘নরমাল ডেলিভারি’র ক্ষেত্রে মায়েদের মধ্যে দু’ধরনের ভয় কাজ করে। প্রথমত, নরমাল ডেলিভারির যন্ত্রণা কি সহনশীল? দ্বিতীয়ত, এই পদ্ধতি কি শিশুর জন্যে সুরক্ষিত?”
প্রথম প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসক চক্রবর্তীর জবাব, “নরমাল ডেলিভারিতে যন্ত্রণার সময়কাল প্রায় ১০-১২ ঘণ্টার মতো হলেও সন্তান জন্মের শেষ ৫-৬ ঘণ্টা যন্ত্রণার মাত্রা অসহনীয় হয়ে ওঠে। তবে কিছু বিশেষ পদ্ধতির দ্বারা সেই ব্যথার মাত্রাও এখন অনেকাংশে কমানো সম্ভব হয়েছে।
সবিস্তার জানতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন:
নরমাল ডেলিভারির এই পদ্ধতি কি শিশুর জন্যে সুরক্ষিত?
চিকিৎসক অরুন্ধতী চক্রবর্তীর মতে, “নরমাল ডেলিভারি যে কোনও হাসপাতালেই করাতে পারেন, যেখানে ২৪ ঘণ্টা ‘এমারজেন্সি সিজ়ারিয়ান সেকশন’-এর সুবিধা আছে। পাশাপাশি দক্ষ গাইনোকোলজিস্ট, অ্যানাসথেটিস্ট এবং নার্সিং টিম রয়েছে, এমন হাসপাতালও বেছে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে আপনি সব সময়ে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকবেন, যাতে নরমাল ডেলিভারির সময়ে চিকিৎসকেরা কোনও রকম অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করলে তৎক্ষণাৎ রোগীকে সিজ়ারিয়ান সেকশনে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।”
শিশুর জন্মের আগে ও পরে যে কোনও ধরনের সুযোগ-সুবিধা এইচ পি ঘোষ হাসপাতালে রয়েছে। তাই দেরি না করে, নরমাল ডেলিভারি করানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে, আজই এইচ পি ঘোষ হাসপাতালে আসুন এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩৬৬৩৪৬৬৩৪
এই প্রতিবেদনটি ‘এইচপি ঘোষ হাসপাতাল’—এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।