‘বার্জার প্রিয় পুজো’
কলকাতা, ১৪ অক্টোবর ২০২৩: বার্জার পেন্টস-এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্যাম্পেন — বার্জার প্রিয় পুজোর ১১তম বর্ষে এ বার ঘটে গেল ডিজিটাল মেকওভার। ২০১২ সালে শুরু হওয়া ‘বার্জার প্রিয় পুজো’ দুর্গাপুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেছে। গণ ভোটের মাধ্যমে সেরা ১০টা দুর্গাপুজোকে বেছে নেয় বার্জার প্রিয় পুজো। তবে এই বছর নজর থাকবে শুধুমাত্র কলকাতায়। বার্জার প্রিয় পুজোর ১১তম তম বর্ষে সিটি অব জয়-এর সেরা ১০টা পুজোকে বেছে নেওয়া হবে। বিগত ১০ বছর ধরে অফলাইনে ভোট নেওয়া হতো। এবছর ডিজিটাল ভোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোটাররা হোয়াটসঅ্যাপ, ওয়েবসাইট ইত্যাদির মতো ডিজিটাল মাধ্যমে মানুষ তাদের প্রিয় পুজোকে ভোট দিতে পারবেন। আলপনা দেওয়া, ধুনুচি নাচের মতো বঙ্গের প্রাচীন প্রথাগুলোয় নতুন প্রাণের সঞ্চার করতে বার্জার প্রিয় পুজো বরাবর চেষ্টা চালিয়ে গেছে। এগুলোকে সমকালীন করে তুলতে এই ব্র্যান্ডের উদ্যোগে আধুনিক নাচের সঙ্গে ধুনুচি নাচের মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে, আঁকা হয়েছে প্রমাণ সাইজের আলপনা। বার্জার প্রিয় পুজো নতুন প্রজন্মকে এই সব উদ্যোগে অংশগ্রহণের উৎসাহ জুগিয়েছে।
উৎসবকে কেন্দ্র করে তৈরি এই প্রচারপর্ব এমন ভাবে তৈরি যাতে তা সাধারণ মানুষের সঙ্গে উৎসবের এক মজবুত সেতুবন্ধন করে। সময় এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে উৎসব উদ্যাপনের ধরন বদলেছে, তবে যেটা বদলায়নি, তা হল এই উৎসব ঘিরে মানুষের উৎসাহ আর উদ্দীপনা। বড় থেকে ছোট, সক্কলে মা দুর্গা ও তার চার সন্তানের ঘরে ফেরার ও তার উদ্যাপনের অপেক্ষায় থাকেন বছরভর। একটা পুজো শেষ হতে না হতেই পরের বছরের অপেক্ষা শুরু হয়ে যায়। দুর্গোৎসবের সময় কল্লোলিনী কলকাতা যেন এক মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে পড়ে। শহরজুড়ে বসে আলোর মেলা। কলকাতাকে আরও উৎসবমুখর করে তুলতে বার্জার প্রিয় পুজো বেশ অনেকটা জায়গা জুড়ে আলপনা দেয়, ধুনুচি নাচে নিয়ে আসে আধুনিকতার ছোঁয়া। দুর্গাপুজোর উদ্যাপন যে ভাবে বদলেছে, সে ভাবে জুড়েছে নানা উদ্যাপন, সেই বিবর্তন প্রতিফলিত বার্জার প্রিয় পুজো ক্যাম্পেনের মধ্যে দিয়ে।
এই ব্র্যান্ড এমন দু’টো প্রতিযোগিতার পরিকল্পনা করেছে যাতে প্রতিফলিত হয় দুর্গাপুজোর আবেগ — ধুনুচি নাচ কনটেস্ট এবং আলপনা কনটেস্ট। দু’টো কনটেস্টের মাধ্যমেই বার্জার পেন্টস দুর্গাপুজো উদ্যাপনের নতুন ধরনের সঙ্গে চিরাচরিত প্রথার মেলবন্ধন ঘটাতে চায়। অনেক শতাব্দী আগে থেকেই আলপনা আঁকার রেওয়াজ, ক্রমে তা প্রতিটা উৎসবের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এই কনটেস্টের মাধ্যমে বার্জার পেন্টস শহরের সেরা আলপনাগুলো বেছে নিয়ে তাদের স্বীকৃতি দেবে। ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা তুলে ধরবে ঐতিহ্যশালী এই নাচের সঙ্গে উদ্ভাবনী ভাবনার সমন্বয়কে।
১১তম বর্ষে বার্জার প্রিয় পুজোর ডিজিটাল রূপান্তরের প্রচারের জন্য বাংলার জনপ্রিয় চিত্রতারকা অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও প্রিয়াঙ্কা সরকারের সঙ্গে এই ব্র্যান্ড হাত মিলিয়েছে। ডিজিটাল ভোটিংয়ের মাধ্যমে এই ক্যাম্পেন আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। এই উদ্যোগ ঘিরে মানুষের আগ্রহও বেড়েছে। ক্যাম্পেনের প্রতিটা পর্বে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার ভাবনাকে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ক্যাম্পেনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সেলিব্রিটিরা সেরা ১০টা পুজো ঘুরে দেখবেন।
এই ক্যাম্পেন শুধুমাত্র সেরা ১০টা পুজো বেছে নেওয়া কিংবা মজাদার প্রতিযোগিতার আয়োজনেই সীমাবদ্ধ নেই। দুঃস্থ মানুষের মধ্যেও উৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চেয়েছে। সেই উদ্দেশেই গত বছর ব্র্যান্ডের তরফে ‘ভিন্ন চোখে অন্য পুজো’ বলে একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এ বছর এই ব্র্যান্ডের তরফে বিভিন্ন অনাথ আশ্রম এবং বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের হাতে উপহার তুলে দেওয়া তো হচ্ছেই, সেই সঙ্গে এক বেলার খাওয়াদাওয়ারও আয়োজন করা হচ্ছে। বার্জার পেন্টসের উদ্যোগে এই সব অনাথ আশ্রম এবং বৃদ্ধাশ্রমে দেওয়ালে পড়বে নতুন রঙের প্রলেপ, যাতে আবাসিকদের উৎসব হয়ে ওঠে আরও একটু রঙিন।
বার্জার পেন্টস ইন্ডিয়া লিমিটেডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও অভিজিৎ রায় বলেন, “বার্জার পুজোর মধ্যে দিয়ে আমরা সব সময় চেয়েছি এমন কোনও মজার অ্যাক্টিভিটি অথবা নতুন ভাবনার সঞ্চার করতে যাতে সবাইকে একত্রে আনা যায় এবং প্রত্যেকের জন্য শারদীয়া হয়ে ওঠে শুভ। আমরা দেখেছি যে প্রতি বছর দুর্গাপুজোর উদ্যাপন বদলেছে কিন্তু আনন্দ-উদ্দীপনা একই রয়ে গেছে। ডিজিটাল ভোটিংয়ের মাধ্যমে আমরা বার্জার প্রিয় পুজোর ১১তম সংস্করণকে মানুষের আরও কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছি, কারণ বার্জার প্রিয় পুজোর ভাবনাই হল সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে উৎসবের উদ্যাপন। ডিজিটাল ভোটিংয়ের মাধ্যমে আমরা একটা গোষ্ঠী তৈরি করতে পেরেছি যেখানে সদ্যসরা একে অপরের আরও কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন, সহজে এই ক্যাম্পেনে অংশগ্রহণ করে তাদের মতামত জানাতে পারছেন। ডিজিটাল ভোটিং চালু হওয়ার পর মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। ”
বার্জার পেন্টস সম্পর্কে কিছু কথা:
বার্জার পেন্টস ভারতের বাজারে ৯ দশক ধরে রয়েছে। বর্তমানে এটা বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ডেকোরেটিভ পেন্ট কোম্পানি। এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম রং উৎপাদক এবং ভারতের অন্যতম বড় রং উৎপাদক। প্রোটেকটিভ এবং কয়েল কোটিংস-এর ক্ষেত্রে এটা ভারতের এক নম্বর কোম্পানি। অটো এবং পাউডার কোটিং বিভাগেও এদের ভালো উপস্থিতি রয়েছে। ব্যবসায়ের সামগ্রিক ফলাফল এবং সুস্থায়ী অগ্রগতির জন্য ২০২১ সালে বার্জার পেন্টস ডেলয়েটের কাছ থেকে ভারতের সেরা পরিচালিত সংস্থা (ইন্ডিয়া’জ বেস্ট ম্যানেজড কোম্পানি)-র স্বীকৃতি পায়। এই সংস্থা নিয়মিত ভাবে ফোর্বস ইন্ডিয়া সুপার-৫০ (SUPER-50), বিজনেস টুডে-র সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি (Most Valuable Companies) এবং মিলওয়ার্ড ব্রাউনের সবচেয়ে মূল্যবান ব্র্যান্ড (Most Valuable Brands)-এর তালিকায় স্থান পেয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সংস্থা এমন সব উদ্ভাবনের আমদানি করেছে যা আগে কেউ করেনি, যেমন কালার ব্যাঙ্ক মেশিন থেকে শুরু করে সাম্প্রতিককালের উদ্ভাবন, যার মধ্যে আছে বার্জার এক্সপ্রেস পেন্টিং, সিল্ক ড্যাজল, ওয়েদারকোট লং লাইফ ১৫, ড্যাম্পস্টপ অ্যাডভান্সড, ড্যাম্পস্টপ ডুও এবং ইম্পিরিয়া ব্রিদ ইজি-র মতো প্রোডাক্ট। প্রতিটা পণ্য এবং পরিষেবার ক্ষেত্রে উদ্ভাবন আমাদের বিরামহীন প্রচেষ্টার ফল, কারণ আমরা অত্যাধুনিক গবেষণা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে এক দুর্দান্ত কাস্টমার এক্সপিরিয়েন্স প্রদান করতে চাই।
এই প্রতিবেদনটি ‘বার্জার পেন্টস’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।