‘বার্জার পেইন্টস ইন্ডিয়া’
দিনভর হাজার ব্যস্ততা শেষে সোজা বাড়ি। আরাম আর শান্তির ঠিকানা। তাই বাড়ি বা অন্দরসজ্জায় চাই যত্ন, ভালবাসা আর নিপুণতার ছোঁয়া। গত একশ বছর ধরে আমাদের সাধের বাড়িকে মনের মতো রঙে রাঙিয়ে চলেছে বার্জার পেন্টস। রঙের এই শীর্ষস্থানীয় সংস্থা এ বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে শতবর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে। বর্তমানে বার্জার পেন্টস ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম রঙ প্রস্তুতকারক সংস্থা। রঙের জগতে বার্জার পেন্টস ভরসা ও বিশ্বস্ততার আর এক নাম। বিশ্বের সর্বোত্তম রঙ সংস্থাগুলির মধ্যে বার্জার অন্যতম। বর্তমানে তারা বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ডেকোরেটিভ রঙ প্রস্তুতকারক সংস্থা। বার্জারের পথচলা শুরুর সময়ে হাওড়াতেই তাদের একটিমাত্র কারখানা ছিল। বর্তমানে বার্জার পেন্টসের বিশ্বব্যাপী ১৮৪টি গুদাম সহ ভারত জুড়ে রয়েছে ২৫টি কারখানা, এ ছাড়াও নেপালে দু’টি এবং একটি করে রয়েছে পোল্যান্ড এবং রাশিয়ায়।
পাশাপাশি, বার্জার পেন্টসই প্রথম সংস্থা, যারা বাজারে ‘ওয়াশেবল’ রঙ নিয়ে আসে, যা সহজেই ধোয়া যায়। সময়ের সঙ্গে ক্রেতাদের আরও উন্নত মানের পরিষেবা দিতে বার্জার একের পর এক উদ্ভাবনী পণ্য ও পরিকল্পনা বাজারে এনেছে। সেই তালিকায় রয়েছে:
বার্জার ইজি ক্লিন: আপনার সাধের ঘরগুলিকে দাগমুক্ত রাখে বার্জার ইজি ক্লিন।
বার্জার ওয়েদারকোট অ্যান্টি ডাস্ট: বাড়ির বাইরের দেওয়ালের জন্য এই রঙটি অনন্য। এর ডাস্ট গার্ড প্রযুক্তির কারণে দেওয়ালে ধুলো জমতে দেয় না।
বার্জার এক্সপ্রেস পেন্টিং: বার্জারের এই পরিষেবাটি সবচেয়ে নিরাপদ এবং ঝামেলামুক্ত একটি প্রক্রিয়া।
বার্জার হোমশিল্ড সহ বৈজ্ঞানিক ওয়াটারপ্রুফিং সলিউশন: এটি আপনার বাড়ির জন্য একটি সম্পূর্ণ ওয়াটারপ্রুফিং সলিউশন।
দীর্ঘ ১০০ বছরের যাত্রা। কত চড়াই-উতরাই, কত কঠিন চ্যালেঞ্জ। সব পেরিয়ে আজও ভারতে রঙের জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বার্জার পেন্টস।
বার্জার পেন্টস শুরুর ইতিহাস-
বার্জার বা লুইস বার্জার নামটি আজ বিশ্বব্যাপী রঙের জগতে খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই নামের উৎপত্তি ১৭৬০ সালে, ইংল্যান্ডে। ১৯২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর হ্যাডফিল্ড নামে এক ইংরেজ ব্যবসায়ী কলকাতায় একটি ছোট পেন্ট কোম্পানি হ্যাডফিল্ডস (ইন্ডিয়া) লিমিটেড স্থাপন করেন। ১৯৪৭ সালের শেষের দিকে ব্রিটিশ পেন্টস নামে একটি ব্রিটিশ কোম্পানি হ্যাডফিল্ডস (ইন্ডিয়া) লিমিটেড অধিগ্রহণ করে। এর পরেই এই সংস্থার নাম হয় ব্রিটিশ পেন্টস ইন্ডিয়া লিমিটেড। ১৯৬৯ সালে বার্জার জেনসন নিকলসন লিমিটেড, ব্রিটিশ পেন্টস (ইন্ডিয়া) লিমিটেড কিনে নেয়। এর সঙ্গে ভারতে লুইস বার্জারের উত্তরাধিকারের সূচনা হয়।
আশি এবং নব্বইয়ের দশকে এই সংস্থায় অনেক নতুন পণ্য যেমন ইমালশন এবং ডিসটেম্পার চালু হয়েছিল। ১৯৯১ সালে, ধিংড়া পরিবার এই কোম্পানিটি অধিগ্রহণ করে। এই সঙ্গে বার্জার পেন্টসের তুমুল অগ্রগতি শুরু হয়। এর পর ১৯৯৪ সালে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ গ্রহণ করেন সুবীর বসু। ২০১২ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করলে বার্জার পেন্টসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার পদে নিযুক্ত হন অভিজিৎ রায়। বর্তমানে তিনিই এই সংস্থাকে পরিচালনা করেছেন।
কখনও দক্ষ হাতে পরিচালনা, কখনও বা ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত। অভিজিৎ রায়ের হাত ধরেই বার্জার পেন্টস ইন্ডিয়া আজ পা রেখেছে সফলতার শিখরে। জীবনের প্রায় অর্ধেক সময়ই তিনি কাটিয়ে দিয়েছেন বার্জার পেন্টসের সঙ্গে। ১৯৯৬ সালে কালার ব্যাঙ্কের প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে তিনি বার্জার পেন্টসের সঙ্গে যুক্ত হন। ২০০৪ সালে তাঁকে মার্কেটিং বিভাগের জেনারেল ম্যানেজারের পদে আনা হয়। ২০০৮ সালে সংস্থার সেলস ও মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান তিনি। তাঁর বিচক্ষণতায় ভর করেই আজ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ১০০ বছরের মাইলফলক ছুঁতে চলেছে বার্জার পেন্টস।
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিনই বার্জার ক্রেতাদের উন্নত মানের পরিষেবা প্রদানে ব্রতী। বিশ্বের দরবারে আজ গগনচুম্বী সফলতা পেয়েছে বার্জার পেন্টস। তবে এখানেই শেষ নয়। আরও অনেক পথ চলা বাকি। আরও নতুন উদ্ভাবনী চিন্তা নিয়ে ১০০ বছরে পদার্পণ করতে চলেছে বার্জার পেন্টস।
এই প্রতিবেদনটি ‘বার্জার পেন্টস’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।