দুর্নীতি কমছে বাংলাদেশে!
গত দু’বছরের তুলনায় দুর্নীতি কমেছে বাংলাদেশে। এমনটাই বলছে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। তাদের করা ২০১৬-র দুর্নীতি সূচকে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ১৫তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৫-র থেকে উন্নতি করে বাংলাদেশ ২০১৬-র তালিকায় দু’ধাপ এগিয়েছে বলে দাবি ওই সংস্থার।
বুধবার ঢাকার ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআই-বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর তরফে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। টিআইবি-র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান জানিয়েছেন, সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ দেশের মধ্যে স্থানগত ভাবে উঠে আসার পাশাপাশি স্কোরের দিক থেকেও উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। গত বছর যেখানে স্কোর ছিল ২৫, এ বার তা বেড়ে ২৬ হয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ২০১৬-র দুর্নীতি সূচকে ১৭৫টি দেশ জায়গা পেয়েছে। সেই তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ১৪৫তম। টিআই-এর ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বার বাংলাদেশ ২৬ পয়েন্ট পেয়েছে। ২০১৫-য় ১৬৮টি দেশের মধ্যে দুর্নীতিগ্রস্তের তালিকায় ২৫ পয়েন্ট পেয়ে ১৩তম স্থানে ছিল বাংলাদেশ। ওই বছর তালিকার ১৩৯ নম্বরে ছিল বাংলাদেশ।
ওই তালিকা অনুযায়ী, এ বার সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে নাম উঠে এসেছে ডেনমার্ক ও নিউজিল্যান্ডের। দু’টি দেশেরই পয়েন্ট ৯০। এর পরে রয়েছে ফিনল্যান্ড। তার পয়েন্ট ৮৯। ১০ পয়েন্ট পেয়ে তালিকায় সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের নাম সোমালিয়া। এর পরে রয়েছে দক্ষিণ সুদান, ১১ পয়েন্ট। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ আফগানিস্তান। ১৫ পয়েন্ট পেয়ে ওই দেশের স্থান ১৬৯তম।
আরও পড়ুন- বন্দি অবস্থায় রোগে ভুগে মারা গেলেন কুখ্যাত রাজাকার এনায়েত
১৯৯৫ থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকা প্রকাশ করা শুরু করে টিআই। বাংলাদেশ সে তালিকায় জায়গা পায় ২০০১ সালে। টিআই-এর দুর্নীতি সূচকে ২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত বাংলাদেশ সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে ছিল। ২০০৬-এ এসে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের স্থান চলে এসেছিল এক নম্বর থেকে তিন নম্বরে। সে বছরের সূচকে বাংলাদেশ ছিল দ্বিতীয় স্থানে। ২০০৭-এ বাংলাদেশের অবস্থান ছিল সপ্তমে। ২০০৮-এ দশম, ২০০৯-এ ত্রয়োদশ, ২০১০-এ দ্বাদশ, ২০১১ ও ২০১২-তে ফের ত্রয়োদশ, ২০১৩-য় ষষ্ঠদশ, ২০১৪-এ চতুর্দশ এবং সর্বশেষ ২০১৫ সালে ত্রয়োদশ স্থানে ছিল বাংলাদেশ।
বিশ্বের ১২টি খ্যাতনামা গবেষণা সংস্থার সমীক্ষা থেকে আলাদা ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে দুর্নীতির এই সূচক তৈরি করে টিআই। কিছু তথ্য সাধারণ ভাবে সব দেশের জন্য ব্যবহৃত হলেও বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রযোজ্য সমীক্ষাটিই বেছে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- বিয়ে না মানলেও ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার, জেল হেফাজতে বাংলাদেশের ক্রিকেটার