আজ রাতেই কার্যকর হতে পারে সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি হান্নান-সহ তিন জঙ্গির ফাঁসি। ফাঁসি কার্যকরে প্রস্তুত কারা কর্তৃপক্ষ। গাজীপুরের কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কারাগারে মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলের এবং সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে দেলোয়ার হোসেন রিপনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান ফাঁসি কার্যকরের সব ব্যবস্থা করা হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন।
এ দিকে দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি কার্যকরে ১০ ফাঁসুড়েকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ছগির মিয়া। তিনি জানান, বুধবার বিকেলে আবার স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন রিপন। কারণ, তিনি রোজা রেখেছেন এবং ইফতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে করতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন...
ঢাকায় বর্ষবরণে হামলার হুমকি
কাশিমপুর ও সিলেট দুই কারাগারের আশপাশেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কাশিমপুরে বুধবার সকালে মুফতি হান্নানের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যেরা দেখা করেছেন।
উল্লেখ্য সিলেটের হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারে ২০০৪ সালের ২১ মে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক সহ অনেকেই আহত হন। পুলিশের দুই কর্তা সহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারক ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। ১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মুফতি হান্নানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে আগের রায় বহাল রাখা হয়। এরপর তিন আসামিই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিল। সেই আবেদনও খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি।