ফাইল চিত্র।
এই মুহূর্তে রোহিঙ্গা-সমস্যা শুধু বাংলাদেশের বিষয় বলে মনে হলেও অচিরেই তা অন্যান্য দেশের সমস্যায় পরিণত হতে পারে। তাই সমবেত ভাবে দ্রুত তার স্থায়ী সমাধান জরুরি বলে মন্তব্য করলেন কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান। তাঁর বক্তব্য, রাষ্ট্রপুঞ্জ তো বটেই, এই সমস্যার মোকাবিলায় দরকার ভারতের সক্রিয় সহযোগিতা।
রবিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতি আয়োজিত আলোচনাসভায় বাংলাদেশি দূত ছাড়াও বিভিন্ন বক্তা রোহিঙ্গা-সমস্যার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তৌফিক জানান, ২৫ অগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ছ’লক্ষের বেশি। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে প্রায় চার লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। মানবতার খাতিরে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। মায়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায় ঢাকা। তার জন্য ভারতের সাহায্য দরকার। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের বক্তব্যে সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে বলেও জানান তৌফিক।
শাহরিয়ার কবীর, দেবপ্রসাদ রায়ের মতো বক্তারা জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থী বিতাড়নের কথা বলছেন কেউ কেউ। কিন্তু যে-যুক্তিতে তাঁদের ফেরত পাঠানোর কথা বলা হচ্ছে, তা অমূলক। কেননা তাঁদের কেউ কেউ পরিস্থিতির শিকার হয়ে সন্ত্রাসবাদী কাজের সঙ্গে যুক্ত হলেও সকলে জঙ্গি নন। তাই রোহিঙ্গা মানেই সন্ত্রাসবাদী, এমন ধারণার কোনও ভিত্তি নেই।