শুনসান রাজপথ। নিজস্ব চিত্র।
নাড়ির টানে ঢাকা ছাড়ছেন হাজার হাজার মানুষ। ফাঁকা হতে শুরু করেছে কর্মব্যস্ত ঢাকা। চেনা পথঘাটগুলো একটু অচেনা— নেই পরিচিত মানুষের চলাচল, যানজট, গাড়ির হর্ন। কর্মস্থলে ছুটি বেশ লম্বা, মানুষের স্রোত এখন রেলস্টেশন, লঞ্চ ও বাস টার্মিনালের দিকে। তাঁরা ছুটির দিনগুলি কাটাতে চান মফস্সল বা গ্রামে স্বজনের সঙ্গে। বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে টানা ৬ দিন ইদের ছুটি পেয়েছেন চাকরিজীবীরা। অন্য দিকে, ১৫ সেপ্টেম্বর সরকারি অফিস খোলা থাকলেও ওই দিন অনেকেই ছুটি নিয়েছেন। ফলে আরও তিন দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি বহু কর্তাব্যক্তি ও কর্মী। তাই তো প্রিয়জনের সঙ্গে কোরবানির ইদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়ছেন সপরিবার।
এমনই ফাঁকা ঢাকার রাস্তা-ঘাট। নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই পাল্টাতে শুরু করেছিল ঢাকার রাস্তাঘাটের চেনা ছবি। চিরচেনা যানজটের নগরীতে নেই সেই আগের চেহারা। ইদের কয়েক দিন রাস্তায় গাড়ির তীব্র হর্ন বা অসহনীয় যানজট চোখে পড়বে না ঢাকাবাসীদের। অলিগলি, মূল রাস্তা, সব জায়গাই শুনশান থাকবে সপ্তাহখানেক। ইদের ছুটির প্রথম দিন শুক্রবারের নিয়মিত ছুটিতে ঢাকার প্রধান সড়কগুলো অনেকটাই ফাঁকা। তবে ব্যতিক্রম রাজধানীতে ঢোকা ও বেরোনোর পথগুলোয়। সেখানে মানুষের ভিড় একটু বেশিই। ঘরে ফেরা মানুষেরা ভিড় করেছেন গাবতলি, মহাখালি, সায়েদাবাদ, সদরঘাট, কমলাপুর সমেত বিভিন্ন স্টেশন টার্মিনালে ভোর থেকেই মানুষের ভিড় শুরু হয়েছে। ট্রেন ও লঞ্চ মোটামুটি সময়মতো ছাড়লেও সড়কপথে যানজটের ফলে দূরপাল্লার বাস সময়মতো আসছে না। ফলে বাস টার্মিনাসগুলিতে যাত্রীদের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে সারা দিন। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিন-চার ঘণ্টা পরে বাসে উঠতে হয়েছে অনেক যাত্রীকেই। কমলাপুর স্টেশনে রাজশাহীগামী দু’টি ট্রেন রাজশাহী এক্সপ্রেস ও সিল্ক সিটি সময়মতো না ছাড়ায় যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। তবে, বাস টার্মিনাস বা স্টেশন ও সদরঘাট নৌবন্দরের পথ ছাড়া ঢাকা মহানগরের এই পাল্টানো চেহারা থাকবে অন্তত দিন সাতেক।
আরও পড়ুন: সড়কপথে তীব্র যানজট, ভোগান্তির পরও নাড়ীর টানে ঈদে ঘরে ফেরা