নারী-পুরুষ ব্যবধান কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষস্থানেই রয়েছে বাংলাদেশ। সদ্য প্রকাশিত হয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)-এর আন্তর্জাতিক লিঙ্গ বৈষম্য সূচক (গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স) রিপোর্ট ২০১৬-তে বাংলাদেশের অবস্থান ৭২ নম্বরে। যা দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে। ভারত রয়েছে ৮৭ নম্বরে।
প্রতি বছর লিঙ্গ বৈষম্য সূচক প্রকাশ করে থাকে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। বিশ্বের ১৪৪টি দেশে শিক্ষাগত সাফল্য, স্বাস্থ্য, অর্থনেতিক সুযোগ এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন- এই চারটে মূল ক্ষেত্র সহ মোট ১৪টা ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতায় কেমন অগ্রগতি হয়েছে তার ভিত্তিতেই এই সূচক তৈরি করা হয়।
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষস্থানে থাকলেও গত বছরের থেকে অবস্থান নেমে এসেছে। ২০১৫ সালে তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ছিল ৬৪তম। এ বার সেখান থেকে ৭ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৭২-এ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে লিঙ্গ বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে চলতি বছর বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে এখনও বড় ব্যবধান রয়েছে।
ভারত ২০১৫ সালে ছিল ১০৮ নম্বরে। সেখান থেকে ২১ ধাপ উঠে ভারত এখন ৮৭তে। মূলত শিক্ষা ক্ষেত্রে মেয়েদের অগ্রগতির উপর দাঁড়িয়েই ভারতের অবস্থান এতটা উপরে উঠেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। আর দক্ষিণ এশিয়ায় সব থেকে নীচে রয়েছে পাকিস্তান। সূচকে পাকিস্তানের অবস্থান ১৪৩তম স্থানে।
বিশ্ব নারী-পুরুষ বৈষম্য সূচকে শীর্ষে রয়েছে আইসল্যান্ড। সবার শেষে রয়েছে ইয়েমেন। উপরের দিক থেকে আইসল্যান্ডের পর রয়েছে ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, রোয়ান্ডা, আয়ারল্যান্ড, ফিলিপিন্স, স্লোভেনিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়িতে ডাকাতি করালো জামাই, কেন জানেন?