মুম্বই, দিল্লি, গোয়া, রাজস্থান, কাশ্মীর, দক্ষিণ ভারত, দীঘা, পুরী, দার্জিলিং... তো অনেক হল। এবার একশো শতাংশ পড়শি রাজ্য, অথচ সেখানে এক টুকরো তিব্বতের খবর দেওয়া যাক! পুজোয় এমন অভিনব জায়গায় বেড়াতে চলুন! দেশের প্রধান ভ্রমণ কেন্দ্রগুলি পুজোর ছুটিতে যখন ঠাঁই নাই-ঠাঁই অবস্থা, ট্রেন-বিমানের টিকিট দুষ্প্রাপ্য!
তুলনায় এই গন্তব্যস্থলে যাওয়ার টিকিট অনেক সহজে মিলবে। ছত্তিশগড়ের ‘খুদে তিব্বত’ অন্তত এখনও অবধি স্বল্পচেনা গন্তব্যস্থল। অথচ পাহাড়, জলপ্রপাত, ফুলের বাগিচা, পথেঘাটে অসংখ্য তিব্বতিদের আনাগোনায় সব মিলিয়ে সত্যিই এক ‘খুদে তিব্বত’।
জায়গাটি ছত্তিশগড়ে। বিন্ধ পর্বতের কোল ঘেঁষা, এখনও অবধি ভারতবর্ষের ভ্রমণ-মানচিত্রের একটি স্বল্প চেনা জায়গা। মাইনপাট। স্থানীয় লোকজনেরা বলে থাকেন ছত্তিশগড়ের শৈলশহর। জায়গাটি ছত্তিশগড়ে। বিন্ধ পর্বতের কোল ঘেঁষা, এখনও অবধি ভারতবর্ষের ভ্রমণ-মানচিত্রের একটি স্বল্প চেনা জায়গা। মাইনপাট। স্থানীয় লোকজনেরা বলে থাকেন ছত্তিশগড়ের শৈলশহর।
জায়গাটি ছত্তিশগড়ে। বিন্ধ পর্বতের কোল ঘেঁষা, এখনও অবধি ভারতবর্ষের ভ্রমণ-মানচিত্রের একটি স্বল্প চেনা জায়গা। মাইনপাট। স্থানীয় লোকজনেরা বলে থাকেন ছত্তিশগড়ের শৈলশহর।
বিন্ধপর্বতের পাদদেশে ছড়ানো মাইনপাটে নয় নয় করে দ্রষ্টব্যস্থান অনেক। চিত্রকোট পর্বত, বড়-ছোট নানান জলপ্রপাত, বারনাওয়াপাড়া বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, কাম্বলেশ্বরী মন্দির, দন্তেশ্বরী মন্দির, কৈলাস কটুমসার গুহা। জঙ্গলে ঘেরা মেহতা হল সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখার দুর্দান্ত এলাকা।
জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে জলজলি নদী। চরাচরব্যাপি আরণ্যক সৌন্দর্য। মাইনপাটেই রয়েছে দেশের বৃহত্তম বক্সাইটের খনি।
দীর্ঘ ছয় দশক ধরে এখানকার বাস করে তিব্বতি পরিবার। স্থানীয় মহলে খবর নিলে শোনা যায়, চিন-ভারত যু্দ্ধের পর পরই ১৯৬২ সালে বিন্ধপর্বতের পাদদেশের এই শৈলশহরে প্রথম তিব্বতিদের আগমন, বসবাস করা কাজকারবার করা। ঘর বাঁধা।
তার জেরে বর্তমানে মাইনপাটে তিব্বতিদের অনেক বংশধর। অনেক বৌদ্ধ মঠ। যার ভেতর টাকপো মঠ জনপ্রিয়। প্রচুর পর্যটকরা আসেন। পর্যটকদের ভিড় অবশ্য ভেঙে পড়ে এই এলাকার সেরা আকর্ষণ উল্টাপানি জলপ্রপাত দেখতে।
ভিসারপানি গ্রামের ভেতর অবস্থিত এই জলপ্রপাতের বিশেষত্ব এর নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে। উল্টাপানি— বিপরীতমুখী জল। মনে হবে, উঁচু থেকে নীচে নয়, জলপ্রপাতটা যেন নীচ থেকে উপরের দিকে গড়াচ্ছে! পুরোটাই দৃষ্টিভ্রম!
কিন্তু এর তুমুল জনপ্রিয়তাও সেজন্যই। মাইনপাটে দু’দিনের সফরে গেলেও উল্টাপানি দেখতে একদম ভুলবেন না যেন!
কীভাবে যাবেন: হাওড়া থেকে মুম্বইয়ের ট্রেনে ঝারসুগুদা স্টেশনে নেমে সেখান থেকে গাড়িতে ২০০ কিলোমিটার দূরত্বে মাইনপাট। সময় লাগে চার-পাঁচ ঘন্টা।