বাড়ির পাশেই সমুদ্রসৈকত, তাও সেটা দেখা যায় তাঁবুতে শুয়ে-শুয়ে! সবেমাত্র দুর্গোৎসব শেষ করে উঠে পকেটে স্বাভাবিক একটু টান পড়েছে?
অথচ উৎসবের মেজাজের আমেজ এখনও মন থেকে পুরোপুরি যায়নি! ইচ্ছে করছে আসন্ন দিওয়ালির মাঝে এই সপ্তাহান্তের অফিসের ছুটির মধ্যে সপরিবার আরেকটু বাইরে বেড়িয়ে আসতে? হয়তো কোনও সমুদ্র সৈকতে! চলুন তবে, একটা খবর দিই। যেখানে আপনার দুয়ারেই সমুদ্র সৈকত!
দু'দিন-এক রাতের ছোট্ট ভ্রমণে ঘুরে আসুন সেখান থেকে। মাত্র ৪-৫ হাজার টাকার খরচে!
নাম তার লালগঞ্জ সমুদ্র সৈকত। নামখানার পাশেই এই অচেনা অদেখা সাগর-তীর!
হাতানিয়া-দোয়ানিয়া পেরিয়ে যেতে হয়। এমনকি সেখানকার সৈকতের সাদা বালির ফাঁকফোকর দিয়ে লাল কাঁকড়ার উঁকিঝুঁকি দেখেও মন ভরাতে পারবেন।
দাঁড়ান দাঁড়ান, বাড়ির কাছেই সমুদ্র সৈকত বেড়ানোর আরও চমক আছে! রাতে সেখানে তাঁবু শুয়ে সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন শুনতেও পাবেন।
বছরের এই সময়টায় লালগঞ্জ সমুদ্র সৈকতে আবহাওয়াও চমৎকার। সকাল-বিকেল অল্প ঠান্ডা, বেলার দিকে চড়া রোদেও তেমন গরম টের পাওয়া যায় না। সন্ধেয় সৈকতের নোনা হাওয়া খেতে খেতে ওখানেই গরম গরম মাছ ভাজা খাওয়ার আনন্দ নিন।
কলকাতা থেকে মাত্র ১৩০ কিলোমিটার দূরত্বের নিরিবিলি এই সমুদ্র সৈকতের কাছেই রয়েছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। আর সৈকতের লাগোয়া বড় বড় ঝাউগাছের জঙ্গল তো আছেই।
শুধু ভাঁটার সময় সমুদ্র অনেকটা পিছিয়ে যায়। তাই স্থানীয় গ্রামবাসীদের থেকে জোয়ার আসার সঠিক সময় জেনে সেই মতো সৈকতে গিয়ে সমুদ্রের মজা উপভোগ করুন।
কীভাবে যাবেন - শিয়ালদার দক্ষিণ সাব-ডিভিশন সেকশন থেকে নামখানা লোকাল ট্রেনে চেপে নামখানা স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে টোটো বা অটোতে সটান লালগঞ্জ সমুদ্র সৈকত। থাকার জায়গা - সমুদ্রের থেকে অল্প দূরে। সমাজ মাধ্যম থেকে তথ্য নিয়ে নিন। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।