কয়েক দিন পরেই কালীপুজো। কালীপুজোর আগেই আসে ভূত চতুর্দশী। এই রাতেই নাকি ভূতের দেখা পাওয়া যায়।
আপনিও কি প্রত্যক্ষ করতে চান ‘তেনাদের’? তা হলে আপনার গন্তব্য হতে পারে রাজস্থানের ভানগড় দুর্গ।
কী আছে সেখানে? খোঁজ নিয়ে দেখা যাক, স্থানীয় কাহিনি। জয়পুর থেকে ৩০ মাইল উত্তর-পূর্বে এই দুর্গ। ভারতের সবচেয়ে ভূতুড়ে জায়গাগুলির মধ্যে ধরা হয় এটিকে।
শোনা যায়, এক সময়ে এই দুর্গে থাকতেন রত্নাবতী নামের এক রাজকন্যা। তাঁর রূপের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা রাজস্থানে। সেই রত্নাবতীর প্রেমে পড়েন এক তান্ত্রিক। কিন্তু রত্নাবতী সেই তান্ত্রিককে প্রত্যাখান করেন।
সেই তান্ত্রিক তা মেনে নিতে পারেননি। মনে করা হয়, এর পরেই তিনি নাকি একটি মন্ত্রের বলে গোটা দুর্গটিকে বেঁধে ফেলেন। ভানগড় দুর্গ হয়ে যায় অভিশপ্ত। সেখানে আর কারও জন্ম হয়নি এর পরে। দুর্গটি হয়ে যায় ভূতুড়ে।
তবে এটাই একমাত্র গল্প নয়। আরও একটি গল্পও আছে। সেখানে বলা হয়, রত্নাবতীর ঠাকুরদাদা যখন ভানগড় দুর্গ তৈরি করছেন, তখন নাকি এক সাধু তাঁর কাছে একটা অনুরোধ নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, এমন ভাবে এই দুর্গ বানাতে, যাতে তাঁর বাড়িটায় রোদ আসে, সেটা যেন ছায়ায় ঢাকা না পড়ে।
রত্নাবতীর ঠাকুরদাদা সেই কথা মেনেও নেন। কিন্তু বহু বছর পরে রত্নাবতীর ভাই দুর্গে আলাদা করে একটি অংশ তৈরি করেন। আর তাতেই ঢাকা পড়ে ওই সাধুর বাড়ির রোদ। তাতেই অভিশপ্ত হয়ে যায় এই দুর্গ।
দু’টো গল্পেরই পরিণতি এক। রত্মাবতীর শাপগ্রস্থ হয়ে যাওয়া। আর ভানগড় দুর্গ ভূতের আস্তানা হয়ে যাওয়া।
ঘটনা থেকে জন্ম হয় গল্পের। গল্প থেকে জন্ম হয় মিথের। সেই সব মিথের সন্ধানেই এখন ভানগড়ে পর্যটকরা যান। অতীতরূপী কোনও না কোনও ভূতের সঙ্গে হয়তো দেখা হয় তাঁদেরও।