পুজোর ছুটি মানেই বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। ইদানিং গাড়ি নিয়ে লম্বা সফরে বেরিয়ে পড়ছেন অনেকেই। দীর্ঘ যাত্রাপথে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার দিকটি নিয়ে উদ্বেগের মাত্রা সকলেরই তুঙ্গে থাকে। তাই সব দিক মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করা ভাল। পথে-ঘাটে শৌচাগার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়লে ঠিক কী করণীয়? দেখে নিন এক ঝলকে।
১. মানচিত্র ব্যবহার: খুঁজে নিন কোন হাইওয়েতে রয়েছে সবথেকে বেশি শৌচাগার। সেই অনুযায়ী যাত্রাপথ নির্বাচন করুন। মোবাইল ফোন বা গাড়ির জিপিএস কাজে লাগিয়ে দরকার পড়লেই খুঁজে নিন নিকটতম শৌচাগার।
২. বিরতির স্থান নির্বাচন: যেখানেই জ্বালানি তেলের স্টেশন বা ধাবা দেখবেন, যাত্রা-বিরতি নিন। এই এলাকাগুলিতে সাধারণত বিশ্রামকক্ষ থাকে। তবে জাতীয় সড়কে অধিকাংশ খাবারের দোকানে শৌচাগার থাকলেও রাজ্য বা আঞ্চলিক সড়কে এই সুবিধা নেই।
৩. পরিচ্ছন্নতা: স্বাস্থ্যসম্মত রক্ষণাবেক্ষণে গণশৌচালয়ের তেমন সুনাম নেই। তবুও চেষ্টা করুন মুক্ত শৌচালয়ের বদলে সুলভ শৌচালয় ব্যবহার করার। টাকার বিনিময়ে ব্যবহার্য হওয়ায় এগুলির রক্ষণাবেক্ষণে তুলনামূলক ভাবে যত্নের ছাপ থাকে। স্বাস্থ্যের চিন্তা মাথায় রেখে প্রয়োজন মতো জল ও ফ্লাশ নির্দ্বিধায় ব্যবহার করুন।
৪. স্যানিটাইজার: সঙ্গে রাখুন বাথরুম স্যানিটাইজার এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে। দরজার হাতল ও কল থেকে শুরু করে টয়লেটে বসার জায়গা সর্বত্র স্প্রে করে নিন। ব্যবহার মিটলে হাত স্যানিটাইজ করতে ভুলবেন না কোনও ভাবেই।
৫. অন্যান্য সরঞ্জাম: সকলের ব্যবহার করা টয়লেট পেপার থেকে রোগ সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। কাজেই সঙ্গে রাখুন নিজস্ব টয়লেট পেপার ও টিস্যু পেপার। সাবধানের মার নেই। তাই নির্দিষ্ট সময় না হয়ে থাকলেও মহিলাদের সঙ্গে থাকুক ঋতুচক্র সংক্রান্ত সামগ্রী।
৬. প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: রাস্তায় কফি-জাতীয় পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। পথের খাবারদাবারও হোক হালকা এবং নিয়ন্ত্রিত। তবে প্রয়োজন পড়লে শৌচাগার ব্যবহারে কুণ্ঠিত হবেন না। দীর্ঘ সময় শৌচাগার ব্যবহার না করলে বরং হিতে বিপরীত হয় বলেই চিকিৎসকদের মত।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।