শীতের সঙ্গে ভূতের গল্পের বোধ হয় একটা গভীর যোগাযোগ আছে। সেই কারণেই তো শীত পড়ার গোড়াতেই হাজির হয় ভূতচতুর্দশী। আর এই বিষয়টাই আরও একটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে বোর্গভ্যাটনেট শহরের এই ভিকারেজে গেলে।
এমনিতেই স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোয় জনসংখ্যা কম। বেশ ফাঁকা ফাঁকা। তাতে ভূতুড়ে ব্যাপারটা যেন আরও একটু বেড়ে যায়। তার সঙ্গে যদি জুড়ে যায় আদিম কিছু রহস্য, তা হলে তো কথাই নেই।
সুইডেনের বোর্গভ্যাটনেট শহরের এই বাড়িটি ঘিরে রয়েছে তেমনই কিছু কাহিনি। ইন্টারনেটে সার্চ করলেও তাই পৃথিবীর সবচেয়ে ভূতুড়ে জায়গার তালিকায় চলে আসে এটির নাম।
ভিকারেজ। মানে চার্চের ভিকারের থাকার জায়গা। সেই হিসাবেই তৈরি হয়েছিল বাড়িটি। কিন্তু কী ভাবে সেটা পুরোপুরি ভূতের আড্ডা হয়ে দাঁড়াল, তা বলা মুশকিল। কোনও ইতিহাস বইয়েই তার ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।
তবে শোনা যায়, এক সময়ে এই ভিকারেজটি ছেড়ে দিয়েছিল চার্চ। প্রায় খালিই পড়ে থাকত এটি। আর তার পরেই ধীরে ধীরে এটা নাকি ভূতের বাড়িতে পরিণত হয়।
শোনা যায়, রাস্তায় বিপদে পড়ে কেউ কেউ এই বাড়িতে রাতে আশ্রয় নিয়েছিলেন কখনও। তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গেই নাকি নানা অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। এমনকী কারও কারও প্রাণ সংশয়ও দেখা দেয়।
ক্রমে ক্রমে আর বাড়িটির ত্রিসীমানায় আসতেন না কেউ। রাতের দিকে তো একেবারেই নয়। কারণ তখন নাকি মোটেই নিরাপদ থাকে না সুইডেনের এই বাড়িটা।
এখন দেশের সবচেয়ে ভয়ের জায়গা হিসাবে পরিচিত বাড়িটিতেও গড়ে উঠেছে একটা ক্যাফে। ক্যাফে কাম পাব। তবে সেটাও চলে সারা দিন ধরে। রাতে সাত তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়।
ভূতপ্রেমীদের অনেকেই এখানে আসেন। ক্যাফেতে বসেন। দু’পেয়ালা কফিও পান করেন। উদ্দেশ্যও থাকে, যদি তেনাদের একটু দেখা পাওয়া যায়।
তবে এত কিছুর পরেও এখানে রাত্রিবাস করতে নাকি চান না কেউই। হাল আমলেও যাঁরা সেই সাহস দেখাতে গিয়েছেন, তাঁরাই নাকি কোনও না কোনও সমস্যায় পড়েছেন।