ভূতেদেরও কি নেশা করার অভ্যাস আছে? কৈলাশে মহাদেবের চ্যালারা নাকি গঞ্জিকা সেবন করেন। কিন্তু তারা তো মহাদেবের চ্যালা! সাধারণ ভূতেরাও কি নেশা করে? প্রশ্নের উত্তর পেতে যেতেই হবে এই লাইটহাউজে।
আমেরিকার ফ্লোরিডার বন্দর শহর হল সেন্ট অগাস্টিন। অনেকের মতে, এটিই আমেরিকার সবচেয়ে পুরনো শহর। আর এই শহরে ইতিহাসের পাশেই বাস করছে ভূতেরাও।
বন্দর শহর হওযার সুবাদে এখানে যে একটা বেশ পুরনো লাইটহাউজ থাকবে, তা তো আন্দাজ করাই যায়। আর সেটাই নাকি ভূতেদের ডেরা।
দূর থেকে দেখতে দুর্দান্ত এই লাইটহাউজ। সাদার ওপরে কালো দাগকাটা এই লাইটহাউজ পর্যটক তো বটেই, স্থানীয়দের কাছেও এক বড় আকর্ষণের কেন্দ্র।
১৮৭৪ সাল থেকেই এটি বহু নাবিককে পথ দেখিয়ে আসছে। নিরাপদে বহু জাহাজ বন্দরে আসতে পেরেছে তার কারণ এই লাইটহাউজটি। কিন্তু শুধু নাকি জাহাজই নয়...
এই লাইটহাউজ নাকি বহু সামুদ্রিক ভূত, পরীদেরও নিয়ে হাজির করেছে বন্দরে। আর সেই কারণেই এটি হয়ে উঠেছে এক ভূতুড়ে আড্ডাখানা।
তবে সে সব নিয়ে বেশি ভয় নেই। যাঁকে নিয়ে বেশি ভয়, তিনি হলেন এই লাইটহাউজের প্রাক্তন কেয়ারটেকার। শোনা যায়, তিনিও নাকি বহু যুগ ধরে আস্তানা গেড়েছেন এখানে।
কীভাবে বোঝা গেল তাঁর ভৌতিক উপস্থিতি? এই লাইটহাউজে ধূমপান নিষিদ্ধ। কিন্তু কখনও সখনও, বিশেষ করে রাতের দিকে সেটিই ভরে যায় চেরি ফ্লেবারের তামাকের পোড়া গন্ধে।
শোনা যায়, প্রাক্তন সেই কেয়ারটেকার নাকি ঠিক এই ফ্লেবারের তামাকই পাইপে সেবন করতেন। আর সেই গন্ধই ফিরে ফিরে আসে বিভিন্ন রাতে। জানান দেয় প্রাক্তন সেই মানুষটির উপস্থিতির কথা।
এসব গল্পের কারণেই সেন্ট অগাস্টিনের এই লাইটহাউজ এখন ভূতদর্শনের অত্যন্ত জনপ্রিয় ঠিকানা। পর্যটকরা আসেন, স্থানীয়রা আসেন। তবে আসেন সত্যিই ভয় নিয়ে। কখন না জানি নাকে এসে লাগে পোড়া তামাকের গন্ধ।