মা কালী কারও কাছে অতি মায়াবী, আবার কারও কাছে অতি ভয়ঙ্কর। দেবীর রূপগুলির মধ্যে সব থেকে আলোচিত এবং ভয়ঙ্কর রূপটি হল দেবী চামুণ্ডার। তার ভয়াবহতা ভাষায় প্রকাশ করা প্রায় অসম্ভব বললেই চলে।
চামুণ্ডার রূপাকৃতি নিয়ে মতভেদ আছে। বিভিন্ন বইয়ের বিবরণে কোথাও তিনি দ্বিভুজা, কোথাও চতুর্ভুজা বা অষ্টভুজা, এমনকি দশভুজা বা দ্বাদশভুজাও।
তাঁর হাতে ত্রিশূল, কাটা মুণ্ড, বজ্র, খড়গ, ইত্যাদি অস্ত্র দেখতে পাওয়া যায়। কোথাও কোথাও একে মহামারির প্রতীকরূপেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
কালীর বাহন নিয়েও নানা বিতর্ক আছে। মার্কণ্ডেয়পুরাণে দেবীর বাহন হিসাবে প্রেতকে উল্লেখ করা হয়েছে।
আবার কারও কারও মতে, লক্ষ্মীদেবীর মতো তিনিও নাকি প্যাঁচায় গমন করেন। বরাহপুরাণ মতে, কালিকা ও চামুণ্ডা পৃথক দুই দেবী, মার্কণ্ডেয়পুরাণ মতে তাঁরা এক জনই।
হিন্দু পুরাণে উল্লেখ আছে চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই অসুরের অত্যাচারে দেবতারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়লে দেবী কৌশিকীর চোখের পলক থেকে সৃষ্টি হয়েছিল দেবী চামুণ্ডার।
রূপ অতি ভয়ঙ্কর, শীর্ণ দেহ, গলায় মুণ্ডমালা। চণ্ড ও মুণ্ডকে দেবী চামুণ্ডা নিজ হাতে পরাস্ত করেছিলেন এবং দেবতাদের রক্ষা করেছিলেন ।
ওড়িশার এক সংগ্রহশালায় দেখা যায় দেবী চামুণ্ডার এক ভয়ঙ্কর মূর্তি। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, মূর্তিটি প্রায় ১২০০ বছরের পুরনো।
গবেষণায় উঠে এসেছে, এই মূর্তিটি একটিমাত্র পাথর কেটেই তৈরি করা হয়েছিল। এতটাই নিখুঁত এই মূর্তির কাজ যে, শিরা উপশিরা সমস্তই বোঝা যায় তার মধ্যে।
এই মূর্তিটিকে ওড়িশার জাজপুরের ধর্মশালা অঞ্চল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এই ভয়ঙ্কর দেবীমূর্তিকে অনেকে জীবন্ত মূর্তি বলে দাবি করেন। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ