স্ট্যানলি কুব্রিকে পরিচালিত ‘দ্য শাইনিং’ ছবিটা অনেকেরই মতেই সর্বকালের সবচেয়ে ভয়ের সিনেমাগুলোর একটা। গল্পের কেন্দ্রে এক হোটেল। তার প্রতিটা ঘরেই রহস্য। স্টিফেন কিংয়ের বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল এই ছবি।
অনেকের মতে, সত্যিকারের এক হোটেলের ঘটনা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়েই স্টিফেন কিং এই উপন্যাস লেখেন। কোথায় সেই হোটেল? ভূত চতুর্দশীর আগে জেনে নিন, সেই ভূতুড়ে ঠিকানার খোঁজ।
আমেরিকার কলোরাডো প্রদেশে রয়েছে এমনই এক হোটেল। নাম ‘দ্য স্ট্যানলি হোটেল’। আর তার প্রতিটা ঘরেই নাকি লুকিয়ে রয়েছে নানা রকমের রহস্য।
১৯০৯ সালে তৈরি হয় এই হোটেলে কলোরাডোর এসটাস পার্ক এলাকায়, যাতে রয়েছে প্রায় ১৪০টি ঘর। যার অনেকগুলো ঘরকেই অভিশপ্ত বলে মনে করা হয়। তবে তার মধ্যে ২১৭ নম্বর ঘরটি ঘিরে যেন একটু বেশি মাত্রায় রহস্য দানা বেঁধে আছে।
কী শোনা যায় ঘরটি সম্পর্কে? কেউ কেউ বলেন, এই ঘরে হোটেলের এক পরিচারিকার আত্মা ঘুরে বেড়ায়। তবে তাকে নিয়ে ভয়েরও বিশেষ কিছু নেই। কারণ সে কারও ক্ষতি করেছে বলে আজ পর্যন্ত শোনা যায়নি। বরং সে নাকি অনেকের উপকারই করে।
কী ধরনের উপকার? শোনা যায়, ওই ঘরে কোনও অতিথি এসে যদি থাকেন, তা হলে তাঁর অলক্ষ্যে তাঁর ব্যাগ থেকে জামাকাপড় বার করে আলমারিতে গুছিয়ে রাখে সেই আত্মা।
আবার তাঁর যাওয়ার সময় হলে ঠিক উল্টোটাও করে দেয়। তবে নিজের অজান্তে এমন ‘উপকার’ পেলেও তো ভয় লাগতে পারে যে কারও!
বর্তমানে এই হোটেলও এখন ‘গোস্ট ট্যুর’-এর বন্দোবস্ত করেছে অতিথিদের জন্য। সেখানে অবশ্য সাবধানও করে দেওয়া হয়। কারণ, শুধু এই উপকারী ভূত নয়, বেশ কিছু রাগী আত্মার সঙ্গেও দেখা হয়ে যেতে পারে রাতের বেলায়!