সুমদ্র নয়, পাহাড় নয়, জঙ্গল নয়! এ পুজোয় চলুন হ্রদের ধারে। আপনি ভাবছেন কোথায় যাবেন? এই প্রতিবেদনে রইল সারা ভারতের দশটি হ্রদের তালিকা।
ভেম্বনাদ হ্রদ: দক্ষিণ ভারতের কেরালায় অবস্থিত এই হ্রদ। ভারতের সব থেকে বড় লেক এটি। এই লেকের অপূর্ব দৃশ্য মন কেড়ে নেবে আপনার। এই হ্রদের দেখা পাবেন কোট্টায়াম জেলায়।
ভোজতাল হ্রদ: মধ্যপ্রদেশের রাজধানী শহর ভোপালের পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে এই হ্রদ। সাধারণত ‘আপার লেক’ নামে পরিচিত এই হ্রদ। সূর্যাস্তের সময় এই হ্রদের শরীর মন ভোলাবে আপনার।
ডাল হ্রদ: ‘কাশ্মীরের মুকুটে রত্ন’। হ্যাঁ। এই নামেই ডাকা হয় ডাল হ্রদকে। সন্ধ্যায় আকাশে চাঁদ ওঠার সময় এই হ্রদের দৃশ্য সারাজীবনের পাওয়া হয়ে থাকে।
প্যাংগং হ্রদ: থ্রি ইডিয়টস সিনেমার শেষের দিকে করিনা কপুরের স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার দৃশ্যটা মনে আছে? পিছন দিকে যে হ্রদটি দেখা গিয়েছিল সেটিই প্যাঙ্গং। ছবির মতো সুন্দর এই হ্রদের অবস্থান লাদাখে। এটাই ভারতের সবচেয়ে উঁচু লবণাক্ত হ্রদ।
হোসেন সাগর: এই হ্রদটি একটি কৃত্রিম হ্রদ। যা হায়দরাবাদে রয়েছে। এই হ্রদের মাঝখানে রয়েছে গৌতম বুদ্ধের একটি মূর্তি।
চিল্কা হ্রদ:পূর্ব ভারতের ওডিশায় রয়েছে এই হ্রদ। এটা আসলে উপহ্রদ। ‘দয়া’ নামে একটা সরু নদী দিয়ে হ্রদটি বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়ছে। ভারতের সব থেকে বেশি পরিযায়ী পাখি দেখা যায় এখানে।
পুলিকাট হ্রদ: চিল্কা হ্রদের পরে দ্বিতীয় বড় উপহ্রদ হল পুলিকাট হ্রদ। অন্ধপ্রদেশে এই হ্রদ অবস্থিত। আগে ‘প্রলয় কাবেরী’ নামে এটি পরিচিত ছিল।
ভীমতাল হ্রদ: উত্তরাখণ্ডের একটি শহর ভীমতাল। এই শহরেই রয়েছে ভীমতাল হ্রদ। এই হ্রদ পাহাড় ঘেরা।
পুষ্কর হ্রদ: রাজস্থানে রয়েছে এই হ্রদটি। হিন্দু ধর্মাবলীদের কাছে এই ঝিল পবিত্র বলে মানা হয়। হ্রদে ৫২টি বাঁধানো ঘাট রয়েছে।একে পুষ্কর সরোবরও বলা হয়।
কাঙ্করিয়া হ্রদ: গুজরাতের আহমেদাবাদের কাঙ্করিয়া হ্রদ। এই লেকের ধারে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। সেই সময় প্রচুর পর্যটক আসেন এখানে।
নৈনিতাল হ্রদ: উত্তরাখণ্ড রাজ্যে রয়েছে এই ঝিল। ঝিলের দক্ষিণে রয়েছে বিস্তীর্ণ সবুজ সমভূমি। উত্তরে আছে বরফাবৃত হিমালয়। মাঝে এই হ্রদ।
চন্দ্রতাল: হিমাচল প্রদেশে স্পিতি জেলায় রয়েছে এই হ্রদ। চন্দ্র তাল চন্দ্রা নদীর কাছে অবস্থিত।পাহাড়ের যেতে পছন্দ করা পর্যটকদের কাছে এই হ্রদ খুব জনপ্রিয়।
উমিয়াম হ্রদ: এর অবস্থান মেঘালয়ে। শিলঙের পুলিশ বাজার থেকে এক ঘণ্টার মতো গাড়িতে যেতে লাগে। নীল জল। টলটলে জল ঝকঝক করে সব সময়। নির্জনবিলাসীদের জন্য আদর্শ থাকার জায়গাটি। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।