প্রতীকী ছবি
কথায় বলে গাড়ির যত্ন নেওয়া আর হাতি পোষা নাকি একই ব্যাপার। তাই ইচ্ছা বা সামর্থ্য থাকলেও অনেকেই গাড়ি কেনেন না। গাড়ি কেনা অনেকটা শাঁখের কড়াতের মতোন। আপনার গাড়ি চললেও খরচা আবার না চললেও খরচা। তবে আপনি যদি মেনে চলেন এই বিষয় গুলি, কমতে পারে রক্ষনাবেক্ষনের খরচ।
ইঞ্জিন, ইঞ্জিন অয়েল, ফিল্টার
ইঞ্জিনের বিভিন্ন যন্ত্রের মধ্যে বারবার ঘর্ষণ হয়। ঘর্ষণ এড়িয়ে ইঞ্জিন যাতে মসৃণ ভাবে কাজ করে তাই ব্যবহার করা হয় ইঞ্জিন অয়েল। তবে দিনের পর দিন ঘর্ষণে ইঞ্জিন অয়েল ধীরে ধীরে কাজ করা কমিয়ে দেয়। ফলে ইঞ্জিনের ক্ষতি হয়। তাই ৮০০০-১০০০০ কিলোমিটার পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করা প্রয়োজন। নাহলে ইঞ্জিন খারাপ হলে কিন্তু তার খরচ আরও বেশি। ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করার সময় এয়ার ফিল্টারটির দিকেও নজর রাখা ভাল। এয়ার এবং ফুয়েলের উপর ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা নির্ভর করে। আপনি কোন তেল ব্যবহার করছেন বা গাড়ির এয়ার ফিল্টারের অবস্থার উপর নির্ভর করে গাড়ির মাইলেজ।
স্পার্ক প্লাগ
সাধারণত একটি ভাল কপার স্পার্ক প্লাগ প্রায় ৫০০০০কিলোমিটার পর্যন্ত চলে। আর একটি ইরিডিয়াম স্পার্ক প্লাগ চলে প্রায় দেড় লক্ষ কিলোমিটার পর্যন্ত। কিন্তু স্পার্কটি খারাপ থাকলে কিন্তু গাড়ি স্টার্ট হতে সমস্যা হয়। কমে জয় গাড়ির মাইলেজ। গাড়ির ইঞ্জিনের উপর নির্ভর করে কটা স্পার্ক লাগবে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের অন্তরে স্পার্ক প্লাগটি পরিবর্তন করে নেওয়া ভাল।
টায়ার, ব্রেক প্যাড
গাড়ির টায়ার কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। টায়ার ঠিক না থাকলে গাড়ির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। খেয়াল রাখুন চাকায় যেন গাড়ির ব্রেক প্যাডটি না আটকায়। দেখে নিন যেন টায়ারের এয়ার প্রেশার ও গ্রিপ টা ঠিক থাকে। টায়ার যেন আলগা না থাকে, তাহলে কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ভাল হয় যদি ৩০ হাজার কিলোমিটার অন্তর টায়ার পরিবর্তন করা যায়। তবে গাড়ি বিশেষে এর কর্মক্ষমতা অবশ্য বদলে যায়।
রেডিয়েটার
গাড়ির ইঞ্জিন গরম হওয়া থেকে বাঁচাতে সামনের দিকে থাকে রেডিয়েটার। ইঞ্জিনের সঙ্গে পাইপ দিয়ে যুক্ত থাকে রেডিয়েটর। সেই পাইপ থেকে কুল্যান্ট বা ঠাণ্ডা তরল ইঞ্জিনে গিয়ে তাপ গ্রহণ করে রেডিয়েটরে এসে ঠাণ্ডা হয়ে আবার ফিরে যায় ইঞ্জিনে। এতে ইঞ্জিনের তাপ হ্রাস পায়। এই তরল পদার্থটি ঠিক না থাকলে কিন্ত আপনার গাড়ির ইঞ্জিন বেশি গরম হয়ে যাবে। এবং কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের অন্তরে এই তরল পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
নিয়মিত সার্ভিসিং
যদি নিজে গাড়ির যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করার সময় না পান তাহলে সার্ভিসিং এ পাঠান। নিয়মিত যত্নে থাকলে গাড়ির হঠাৎ খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। আপনার শরীরের মতোন গাড়িরও নিয়মিত যত্নের প্রয়োজন। সম্ভব হলে বছরে অন্তত একবার করে গাড়িটি সার্ভিসিং করে নিন।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।