Vishwakarma Puja Special

ভারতের প্রথম ‘বিশ্বকর্মা'র সাফল্যের ইতিহাস

কিন্তু দেশের প্রথম 'বিশ্বকর্মা' কে ছিল জানেন? কেমন ছিল তাঁর জীবন? চলুন জেনে নেওয়া যাক ভারতের প্রথম ইঞ্জিনিয়ারের সাফল্য ও জীবনের কথা।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:২৩
Share:

প্রতীকী চিত্র

'পেটকাটি চাঁদিয়াল মোমবাতি বগ্গা

Advertisement

আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক, মাটিতে অবজ্ঞা।'

আজ বিশ্বকর্মা পুজো। ঘুড়িদের আকাশ দখলের দিন। আজ ছুরি, কাঁচি, ছেনি, যন্ত্র, সাইকেল, গাড়ি— এই সব কিছুর দেবতা বিশ্বকর্মার আরাধনা দিবস। যাঁর আবির্ভাব আরও এক বার মনে করিয়ে দেয়, দুর্গাপুজো দোরগোড়ায়। যন্ত্রপাতি নিয়ে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন যাঁদের, সেই ইঞ্জিনিয়ারদেরও দিন আজ। বিভিন্ন কারখানা, ছোট বড় যন্ত্রপাতির দোকান, সাইকেল সারাইয়ের দোকান, গাড়ির গ্যারেজে পূজিত হবেন বিশ্বকর্মা।

Advertisement

কিন্তু দেশের প্রথম 'বিশ্বকর্মা' কে ছিল জানেন? কেমন ছিল তাঁর জীবন? চলুন জেনে নেওয়া যাক ভারতের প্রথম ইঞ্জিনিয়ারের সাফল্য ও জীবনের কথা।

স্যার মোক্ষাগুন্ডাম বিশ্বেশ্বরায়া। পরাধীন ভারতের সর্বপ্রথম ইঞ্জিনিয়ার। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। বিশ্বকর্মা পুজোর ঠিক দু’দিন আগে, অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর এই বিখ্যাত মানুষটির জন্মদিন তাই সারা দেশে ‘ইঞ্জিনিয়ার দিবস’ হিসেবে পালিত হয়।

ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে প্রভূত সুখ্যাতি সাফল্য ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন মোক্ষাগুন্ডাম। ব্রিটিশরা খুশি হয়ে তাকে তৎকালীন মাইসোরের প্রধানমন্ত্রী করে দেন।

দক্ষিণ ভারতে তেলুগু পরিবারে মোক্ষাগুন্ডামের জন্ম। তার পরেই তাঁর পরিবার কর্নাটকে চলে আসেন। প্রথমে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাটকের ডিগ্রি লাভ করার পরে পুণে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন তিনি। পরবর্তীতে এই মানুষটি এক সময়ে মাইসোরের দেওয়ান হিসেবেও সম্মান লাভ করেছিলেন।

ব্রিটিশ সরকারের অধীনে প্রথম সরকারি চাকরি। এরপর ‘বম্বে প্রেসিডেন্সি’ এবং ‘মিডল ইস্ট’-এর মত নামজাদা প্রতিষ্ঠানের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেও সাফল্য লাভ করেন মোক্ষাগুন্ডাম। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে পাঠিয়েছিল জল সরবরাহ ও নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে পড়াশোনার জন্যে। ইন্ডিয়ান ইরিগেশন কমিশনের যোগ দেওয়ার পরে দাক্ষিণাত্য মালভূমির সেচের জন্য একটি জটিল পদ্ধতির সূচনা করেন তিনি।

ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে মোক্ষাগুন্ডামের সাফল্যের খতিয়ান নজিরবিহীন। বিশাখাপত্তনম বন্দরকে রক্ষা করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন তিনি। বন্যার হাত থেকে তাকে বাঁচানোর পরিকল্পনা করেন। এ ছাড়া মাইসোরে সাবান কারখানা, স্টিল কারখানা, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মাইসোর স্টেট ব্যাঙ্ক-সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের সূচনা তাঁর হাতেই।

১৯২৩ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন মোক্ষাগুন্ডাম। ১৯৫৫ সালে তিনি ভারতরত্ন উপাধি পান। বলাই বাহুল্য, ঘুড়ির মতই আকাশচুম্বী ছিল তাঁর সাফল্য।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement