পুজোয় চাই নতুন ফোন। এবং হ্যাঁ, তা যেন হয় গেমিং-এ সেরা!
এটাই যদি হয় আপনার লক্ষ্য, তা হলে ফোন কেনার প্রথম শর্ত হবে সেরা প্রসেসর।
ফোনের প্রাণ হল তার প্রসেসর, আর সেই ফোন যদি মূলত গেমিং-এর জন্যই ব্যবহার করতে হয়, তবে শক্তিশালী প্রসেসর থাকাটা খুবই জরুরি। সেই সঙ্গে ভাল হতে হবু আরও দু-একটা জিনিসও।
প্রসেসর-এর ক্ষেত্রে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্র্যাগন-এইট জেনারেশন টু হল সবচেয়ে শক্তিশালী এবং অত্যাধুনিক। মিডিয়াটেকের নাইন থাউজ্যান্ড সিরিজের প্রসেসরও খুবই ভাল, যেমন নাইন থাউজ্যান্ড প্লাস, নাইন থাউজ্যান্ড ওয়ান-হানড্রেড বা টু-হানড্রেড। মাঝারি বাজেটে মিডিয়াটেকের ডায়মন্ড সিটি ৮২০০, ৮০২০ সিরিজের প্রসেসর বেশ ভাল। এই ক্ষেত্রে সেরার তালিকায় আছে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্র্যাগন সেভেন প্লাস, সেভেন-জেন-২, সেভেন-জেন-১।
প্রসেসরের পরেই কীসে নজর দিতে হবে? অবশ্যই দ্রুত কার্যকরী ফোন-মেমরি। ফোনে স্টোরেজের ধরন অবশ্যই দেখে নেবেন। মেমরি দ্রুত কাজ না করলে গেমিং-এ ভিডিয়ো ল্যাগ করবে। মাঝারি বাজেটে সবচেয়ে ভাল ইউ-এফ-এস থ্রি-পয়েন্ট-ওয়ান স্টোরেজ টাইপ। কাছাকাছি দামে টু-পয়েন্ট-টু স্টোরেজ টাইপও চলতে পারে। ফ্ল্যাগশিপ ফোন হলে এই থ্রি-পয়েন্ট-ওয়ান চলতে পারে। তবে আরও ভাল এবং দামি, সাম্প্রতিকতম এবং শক্তিশালী হল ইউ-এফ-এস ফোর-পয়েন্ট-জিরো স্টোরেজ টাইপ। এটাই সেরা।
এ বার দেখে নিন র্যাম। এ ক্ষেত্রে এল-পি-ডি-ডি-আর ফোর-এক্স অথবা ফাইভ হল সেরা। এগুলো যথেষ্ট দ্রুত চলে এবং গেমিং-এর জন্য আদর্শ। আর হ্যাঁ, গেমিং-এর সময়ে ফোন গরম হয়ে যাচ্ছে কি না খেয়াল রাখবেন। গরম হয়ে গেলে প্রসেসর তার কার্যকারিতা আপনা থেকেই কমিয়ে দেবে।
অনেকেই জায়রো-বেসড গেম খেলতে পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে ফোনের জায়রো-সেন্সর ঠিকঠাক আছে কি না, দেখে নেওয়া জরুরি। অনেক সংস্থা এখন তাদের ফোনে গেমিং-মোড বলে একটা অপশন রাখছে। সেই মোড অন করে গেম খেললে আপনি পিক পারফরম্যান্স পাবেন। অযথা ফোনকল বা মেসেজ নোটিফিকেশন আপনার খেলা নষ্ট করবে না।
সব শেষে খেয়াল রাখুন, ফোনের ব্যাটারি ব্যাক-আপ যেন অবশ্যই ভাল হয়। আপনি চার্জ দিতে দিতে গেমিং করতেও পারেন, কিন্তু তখন ফোন ধরতে একটু অসুবিধা হবে। অবশ্য আপনার ফোনে চার্জিং কেবল যদি L শেপের পান, তা হলে চার্জিং পোর্টে লাগালেও গেমিং-এর সময়ে ফোন হাতে ধরতে অসুবিধা হবে না।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।