ছবি: সংগৃহীত
স্মার্ট ওয়াচ কেনার ক্ষেত্রে তার ডিজাইনে সবার আগে নজর দিন। দেখতে হবে আপনার হাতের সঙ্গে তা কতটা মানানসই হচ্ছে। স্মার্টওয়াচটি কতটা আরামদায়ক এবং স্ট্র্যাপের মান কতটা ভাল, তা অবশ্যই দেখতে হবে। কারণ দৈনন্দিন ব্যবহারে এগুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। অবশ্যই ওজনে হাল্কা হলে ভাল, কারণ হাতে পরে থাকার জন্য তা আরামদায়ক।
বাজেট স্মার্ট ওয়াচ কিনলেও দেখে নিতে হবে তাতে প্রয়োজনীয় সমস্ত ফিচার রয়েছে কি না। যেমন Spo2 Sensor, Heart Rate Sensor ইত্যাদির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের স্পোর্টস মোড আছে কি না দেখে নেবেন। এ ছাড়া, আপনার ঘড়ি স্টেপ কাউন্ট, ক্যালরি কাউন্টের মতো ফিটনেস প্যারামিটারগুলি কতটা সঠিক ভাবে পরিমাপ করতে সক্ষম, তা যাচাই করে নেওয়া জরুরি। তবে স্মার্টওয়াচে সব সময়ে সঠিক পরিমাপ ধরা পড়ে না। তাই মেডিক্যাল গ্যাজেটের উপরে ভরসা রাখা ভাল।
ফোনের মতো স্মার্টওয়াচের ডিসপ্লেও ভাল হওয়া জরুরি। আপনি যদি ভাইব্র্যান্ট রং চান, তবে অবশ্যই AMOLED বা OLED ডিসপ্লে দেখে নেবেন। ডিসপ্লের মাপ এবং আকৃতি অর্থাৎ গোলাকার বা চৌকো ডায়াল-- কোনটা আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানাবে, তা ঠিকমতো বুঝে নেবেন। আপনার বাজেট যদি একেবারে কম হয়, সে ক্ষেত্রে ips Display নিতে হবে। তবে দেখে নেবেন পিক ব্রাইটনেস যেন 400 Nits-এর নীচে না হয়।
স্মার্টওয়াচটি কোন অ্যাপের মাধ্যমে কাজ করে এবং সেই অ্যাপটি কতটা ব্যবহারের পক্ষে সুবিধাজনক, সে বিষয়টাও গুরুত্বপূর্ণ।
এই ফিচারগুলোর পাশাপাশি আপনার স্মার্টওয়াচটি কতটা টেকসই বা এর ব্যাটারি একটানা কত দিন পরিষেবা দিতে পারবে— এগুলোও বুঝে নিন ঠিক করে। অন্তত সাত দিনের ব্যাটারি ব্যাকআপ না দিলে সেই স্মার্ট ওয়াচ কেনা উচিত নয়। বাজেট স্মার্টওয়াচে সাধারণত IP67 বা IP68 সার্টিফিকেশন থাকে, যা জল এবং ধুলো প্রতিরোধে সহায়তা করে।
মেসেজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন স্মার্ট ওয়াচে আসে কি না, মনে করে দেখে নিন। এই ফিচারটি আপনার ফোন ব্যবহারের প্রবণতা কিছুটা কমিয়ে আনবে।
বাজেটের মধ্যে স্মার্ট ওয়াচ কিনবেন, এমনটা যদি মনস্থির করেই থাকেন, তা হলে এই টিপসগুলো আপনাকে নিশ্চিত ভাবেই সাহায্য করবে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।